বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র : শিল্পমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্প ঘিরে বহির্বিশ্বে স্বার্থান্বেষী মহলের নেতিবাচক প্রচারণা সত্ত্বেও ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে। এ শিল্প নিয়ে অতীতে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল, এখনো আছে। এ খাতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঠেকাতে প্রতিযোগীরা তৎপর।

গতকাল রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সেমস গ্লোবাল ও সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিটিআই) যৌথভাবে আয়োজিত চার দিনব্যাপী তিন প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি উল্লেখ করেন, তবে কোনো অপতৎপরতাই পোশাকশিল্পের অগ্রগতিকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এ শিল্পের ধারাবাহিক উন্নতির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব কাজ করছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স চিন উই, সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রিজের (সিবাই) সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) প্রথম সহসভাপতি মনসুর আহমেদ, সিসিটিআই মহাসচিব ঝ্যাং টাও ও সেমস গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট এবং গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেরুন এন ইসলাম।

 

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফলে এ শিল্পে গুণগত পরিবর্তন এসেছে। এ দেশের পোশাক কারখানাগুলো সবুজ শিল্পে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের ১০টি পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার ৭টিই রয়েছে বাংলাদেশে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পোশাকপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ খাতে জ্ঞানভিত্তিক ও হাইটেক গার্মেন্ট শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

তিন প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে— ১৩তম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিক শো-২০১৮, ৩০তম ডাইক্যাম বাংলাদেশ এক্সপো-২০১৮ ও দ্বিতীয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডেনিম শো-২০১৮। আয়োজকরা জানিয়েছেন, তিনটি প্রদর্শনী চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এবার প্রদর্শনীতে বিশ্বের ২১ দেশের ৩৫০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। এতে রয়েছে সকল প্রকার সুতা, ডেনিম, নিটেড ফেব্রিক্স, ফ্লিস, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফাইবার, আর্টিফিশিয়াল লেদার, অ্যামব্রয়ডারি, বাটন, জিপার, লিনেন, ব্লেন্ডসহ অ্যাপারেল পণ্যের বিশাল সমাহার। প্রদর্শনীটি পোশাকশিল্প খাতের ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের জন্য ওয়ানস্টপ প্লাটফরম হিসেবে কাজ করবে।

 

সর্বশেষ খবর