বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

বদলে যাচ্ছে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের চিত্র

আরাফাত মুন্না

পরিদফতর থেকে অধিদফতরে রূপান্তরের পর বদলে যেতে শুরু করেছে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের চালচিত্র। আধুনিকায়নের কারণে সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি কমতে শুরু করেছে। এখন নিবন্ধন কার্যালয়গুলোতে বালাম বইয়ের সংকট আর নেই। রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়ালও যুগোপযোগী করা হয়েছে। ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষায়ও প্রকাশ করা হয়েছে এই ম্যানুয়াল। রেজিস্ট্রি অফিসে সাধারণ মানুষের সব ভোগান্তি বন্ধ করতে আইনমন্ত্রী ইতিমধ্যে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। আগামীকাল বাংলাদেশ রেজিস্ট্র্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নতুন দিক নির্দেশনা দেবেন।

রেজিস্ট্রেশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই সরকারের আমলে জালিয়াতি রোধে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইনের সংস্কার ও বিধিমালা ২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। ভূমির মালিকদের মূল দলিল দ্রুত ফেরত দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত বালাম বই সরবরাহ করা হয়েছে। নকল নবিসদের পারিশ্রমিক ১৬ হতে বাড়িয়ে ২৪ টাকা ও তাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া পারিশ্রমিক পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি রেজিস্ট্রেশন অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার নিয়োগের ব্যবস্থা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শেখ কায়সার আহমেদ বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিভাগ বিগত ৪৬ বছরেও যা পায়নি বর্তমান সরকার তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন সেবা পেতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতেই এই বিভাগকে অধিদফতরে উন্নীত করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের বালাম বইয়ের সংকট নিরসন করা হয়েছে। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়ালও তৈরি করা হয়েছে। এই বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে নিজের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি পূরণ করেছি। এখন তাদের দায়িত্ব জনগণের দাবি পূরণ করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর