শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুদককে ‘তথ্য’ দেবে না এনবিআর

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান

রুহুল আমিন রাসেল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদককে করদাতাদের দাখিল করা আয়কর বিবরণীর কোনও গোপন তথ্য দেবে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর। এ বিষয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে দুদকের প্রস্তাব নাকচ করেছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, করদাতার তথ্য সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষা করা তাদের আইনি দায়িত্ব।

তবে দুদকের আইন শাখার মহাপরিচালক মাইদুল ইসলাম গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এনবিআর আইনের বাইরে কথা বলছে। কারণ, আয়কর আইনেই বলা আছে, ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে করদাতার আয়কর বিবরণীর তথ্য দেওয়া যাবে। এখন এনবিআর যদি তথ্য দিতে না চায়, তাহলে আইনি প্রক্রিয়াতে মামলা করবে দুদক। তিনি আরও বলেন, এনবিআর আগেও একবার প্রস্তাবটি নাকচ করেছে। দ্বিতীয় দফায় নাকচের পত্র এখনও পায়নি দুদক। তবে দুদকের প্রস্তাব সর্ম্পকিত পত্র ও খসড়া সমঝোতা স্মারকের ওপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মতামত দিয়েছেন এনবিআর সদস্য (কর আপিল ও অব্যাহতি) রওশন আরা আক্তার। তার স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত পত্রে বলা হয়েছে— দুদকের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত উভয় ক্ষেত্রেই এনবিআর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়কর রিটার্নসহ প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র বা তথ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণ সর্ম্পকিত পত্র ও খসড়া সমঝোতা স্মারকের ওপর মতামত হলো— করদাতাদের তথ্য সংরক্ষণ ও তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ১৬৩ ধারায় নির্ধারিত। এই আইনি বিধান বিদ্যমান থাকা অবস্থায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সুযোগ রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় না। তবে এনবিআর ও দুদকের কাজের পারস্পারিক সহযোগিতার চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা যেতে পারে। জানা গেছে, এনবিআরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর সর্ম্পকে একটি প্রস্তাব দ্বিতীয় দফায় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রেরণ করে দুদক। সংস্থাটি ২০১৪ সালেও এমন একটি প্রস্তাবদেয়, যা আগেই নাকচ করে এনবিআর। এনবিআরের সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে করদাতা সনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএন গ্রহণ করে করদাতা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন প্রায় ৩৬ লাখ ব্যক্তি- শ্রেণীর করদাতা। দেশে দুই কোটি করাদাতা তৈরির মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করতে চায় সরকার। আর ২০২১ সালের মধ্যে করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করতে চায় সরকার। এ জন্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের দিক-নির্দেশনার আলোকে করদাতার সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীতকরনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে এনবিআর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর