শিরোনাম
শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডলার সংকটের নেপথ্যে চাল আমদানির দায় শোধ

আলী রিয়াজ

চাল আমদানির দায় শোধ করতেই ডলার ঘাটতি তৈরি হয়েছে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে। সারা দেশে সংকট মেটাতে আমদানি করতে হয়েছে শত শত টন চাল। আর চাল আমদানি করতে গিয়েই দেশের বাজারে নগদ ডলার লেনদেনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

গত বছর বন্যা এবং হাওর এলাকায় বাঁধ ভাঙার কারণে চালের সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর দেশের সব ব্যাংকে ডলার ঘাটতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে। ৭৬ থেকে ৭৮ টাকার ডলার বিক্রি হচ্ছে এখন ৮৫ টাকায়। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার সরবরাহ করেও সামাল দিতে পারেনি। গতকালও বিভিন্ন ব্যাংকের ডলার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৮৫.২৫ টাকায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘাটতি সাময়িক। কিছুদিন পরই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের প্রথমার্ধে সব ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানি বেড়েছে। এর মধ্যে চালের আমদানি বেড়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে চাল আমদানি মূল্য ছিল ৮৬ কোটি ৯২ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রা যা ৭ হাজার ২২১ কোটি টাকা। আগের অর্থ বছরের একই সময় ছিল যা ৮২ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা মাত্র ৬৮১ কোটি টাকা। চাল আমদানির এই মূল্য পরিশোধ করতে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নগদ ডলার ঘাটতি। অর্থাৎ এই সময় শতাংশ হিসেবে চালের আমদানি বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ভাগ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর