বাংলাদেশ প্রতিদিনের কমার্শিয়াল ম্যানেজার মহিউদ্দিন আহমেদের দাফন গতকাল সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল সাড়ে ৩টায় খিলগাঁও তালতলা রিয়াজবাগ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ জোহর মহিউদ্দিন আহমেদের মরদেহ তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন শোকার্ত সহকর্মীরা। সেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ভাই হাফেজ জসীম উদ্দিন আহমেদ। এর আগে সকাল ৯টায় খিলগাঁওয়ের  নিজ বাসভবনের সামনে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মিডিয়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণের জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের, উপ-সম্পাদক মাহমুদ হাসান, বাণিজ্যিক উপদেষ্টা খন্দকার কামরুল হক শামীম, বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা আবু তৈয়ব, নিউজ টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক হাসনাইন খুরশিদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বার্তা সম্পাদক কামাল মাহমুদ, সিটি এডিটর শিমুল মাহমুদ, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ইডি জেড এম আহমেদ প্রিন্স, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজ্ঞাপন বিভাগের জিএম মাসুদুর রহমান ও সার্কুলেশন বিভাগের জিএম বিল্লাল হোসেন মন্টু, মরহুমের ছেলে ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ ও ইশতিয়াক আহমেদ। এ ছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তা, পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশন ও রেডিওর সিনিয়র সাংবাদিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানাজায় অংশ নেন। জানাজার আগে মরহুম মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ রাজীব বলেন, আমার বাবা সন্ধ্যায় কাজ শেষে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে গাড়িতে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। কিন্তু যানজটের কারণে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে যেতে পারেননি। প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তায় যানজটে আটকা ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মহিউদ্দিন আহমেদ। আগামী শুক্রবার বাদ মাগরিব মরহুমের খিলগাঁওয়ের বাসভবনে কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।