সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোচিং সেন্টারকে ছায়া শিক্ষা স্বীকৃতির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশ্ন প্রণয়ন, মুদ্রণ, বিতরণ ও পরীক্ষা গ্রহণের সঙ্গে কোচিং সেন্টারগুলোর সম্পৃক্ততা নেই। প্রশ্ন ফাঁস রোধে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা যুক্তিসঙ্গত নয়। এসব উল্লেখ করে কোচিং সেন্টারকে ছায়া শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. ইমাদুল হক বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলেও প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়নি। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যারা জড়িত  তারা যেই হোক না কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বহির্বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশেও ছায়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোচিং সেন্টারগুলো নির্বিঘ্নে চালু রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে কোচিং সেন্টারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন তিনি। বক্তব্যে বলেন, প্রতি বছর ৫২টি শুক্রবার, গ্রীষ্মের ছুটি, শীতের ছুটি, রমজান ও ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষ দিনের ছুটি, জাতীয় দিবসসমূহের ছুটি এবং অন্যান্য সরকারি ছুটিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এ ছাড়াও পঞ্চম সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার সময়ও ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় না। সব মিলে ৩৬৫ দিনের মধ্যে গড়ে ১৯০ থেকে ২০০ দিন পাঠদান কার্যক্রম থাকে না। অবশিষ্ট দিনগুলোর মধ্যে আবার কমপক্ষে ২টি মিডটার্ম, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা চলে, যাতে প্রায় ৪০-৫০ দিন ক্লাস হয় না। অর্থাৎ সারা বছরে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পায় ১১৫ থেকে ১২৫ দিন। এই সময়ে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সব বিষয়ের সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না। এ সমস্যার সমাধানকল্পে তারা কোচিং সেন্টারের সহায়তা গ্রহণ করে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান সোহাগ, সৈয়দ মাহবুবুল হক পলাশ, আবু রায়হান, পলাশ সরকার, মাহবুব আরেফিন প্রমুখ।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর