বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান (অব.) বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিনটি পালন করব আমরা। তিনি বলেন, আজ থেকে নয় বছর আগে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে অত্যন্ত নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসেও এমন দৃষ্টান্ত বিরল। বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক এমন ঘটনা আর কখনো ঘটেনি। একদিনে ৩৬ ঘণ্টায় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে ৫৮ জন অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা  করা হয়। তাদের স্ত্রীদেরও হত্যা করা হয়। নির্যাতন করা হয়। গতকাল রবিবার সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত ব্যক্তিদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (অব.), এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী (অব.), কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (অব.), বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ ওলফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, এই যে হত্যাকাণ্ড, এটা তো এমনি ঘটেনি। আমি মনে করি, এর পেছনে একটা গভীর চক্রান্ত ছিল। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। নিরাপত্তায় আঘাত হানতে চেয়েছিল। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এ ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত ছিল, তা এখনো বেরিয়ে আসেনি। অনেকেই অভিযুক্ত হয়েছেন। তাদের শাস্তি হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, ফাঁসিও হয়েছে। আরও যারা এই ঘটনায় অভিযুক্ত, তারা এখনো দণ্ডিত হননি। এগুলোর একটি সমাধান প্রয়োজন। আজ আমরা শোকাহত চিত্তে এখানে এসেছি। এখনো বিডিআর বিদ্রোহ কর্মকাণ্ডের তথ্য সঠিকভাবে উদঘাটন হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছিল তা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

 তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে জনগণের রায়ে বিএনপি যদি  দেশ পরিচালনার সুযোগ পায় তাহলে এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃবিচার করবে। মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (অব.) বলেন, এখন পর্যন্ত বিডিআর বিদ্রোহের বিচারের রায় কার্যকর হয়নি। সেদিন যারা গুলি চালিয়েছিলেন, তাদের হয়তো বিচার হয়েছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা রয়েছেন, যারা এই নীলনকশা করে দেশপ্রেমিক সেনাদের হত্যা করেছেন, তাদের বিচার এখনো হয়নি।