বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইয়াবা পাচারের নতুন চার রুট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ইয়াবা পাচারের নতুন চার রুট

ইয়াবা পাচারে বিকল্প রুট ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। ইয়াবা পাচারের ট্রানজিট পয়েন্ট কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা পাচারে চারটি নতুন রুট সৃষ্টি করেছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। এখন এ চার রুট দিয়েই ইয়াবা পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সম্প্রতি এ চার রুটে নজরে আসে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। বিষয়টি নজরে আসার পর ওই সব এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের ইয়াবা প্রবেশের ট্রানজিট পয়েন্ট কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচারের রুটগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। তাই ইয়াবা পাচারের রুট পরিবর্তন করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ রুটগুলো দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে ইয়াবার বড় সব চালান।

 এ চার রুটের মধ্যে রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিরসরাই রুট। এ রুট দিয়ে ইয়াবা পাচারের জন্য ব্যবহার করা হয় বাঙ্গালহালিয়া-রাঙ্গুনিয়া-ফটিকছড়ি-মিরসরাই উপজেলাকে। এ উপজেলার বিভিন্ন সড়ক হয়ে ইয়াবার চালানগুলো চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। ইয়াবা পাচারের জন্য দ্বিতীয় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাতকানিয়া-বান্দরবন রুট। ইয়াবার চালানগুলো কক্সবাজার থেকে সাতকানিয়ার কেরানিহাটে আনা হয়। পরে বান্দরবন হয়ে রাঙ্গুনিয়া-রাউজান-হাটহাজারী দিয়ে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম নগরীতে। ইয়াবা পাচারের নতুন রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে নৌপথকে। চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে লাইটারেজ জাহাজগুলো যায় নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে নৌপথে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোতে তুলে দেওয়া হয় ইয়াবার বড় চালান।  এ পথে ঝুঁকি ছাড়াই ইয়াবা পরিবহন হচ্ছে বলে খুশি মাদক ব্যবসায়ীরা।

কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ রুটটি। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বিভিন্ন ট্রলারে করে টেকনাফ থেকে নিয়ে আসা হয় ইয়াবার চালান। এ চালানাগুলো খালাস করা হয় নগরীর কাট্টলী উপকূলীয় এলাকায়। পরে খালাস হওয়া এসব চালান তুলে দেওয়া হয় চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্য আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা কাভার্ড ভ্যানগুলোতে। পরে কাভার্ড ভ্যান দিয়েই ইয়াবার চালান চলে যায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। র‌্যাব-৭ অধিনায়ক কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রুট পরিবর্তন মাদক ব্যবসায়ীদের কৌশলের একটা অংশ। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের অবস্থান জিরো ট্রলারেন্স। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ইয়াবা পাচারের পুরনো রুটগুলোতে নজরদারি বাড়ানোয় মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন রুট দিয়ে ইয়াবা পাচার করছে। মাদকের নতুন রুটগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছি।

সর্বশেষ খবর