আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গণহত্যা দিবস পালন করছে না, করবে না, তারা পাকিস্তানের বন্ধু। তারা এ দেশে পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষাসহ সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
গতকাল রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে নতুন তিন রুটে বিআরটিসি বাস সার্ভিসের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধন হওয়া নতুন তিন রুটের প্রথমটি হচ্ছে, সদরঘাট-গুলিস্তান-শাহবাগ-কলাবাগান-কল্যাণপুর-গাবতলী-মিরপুর-১, ২, ১০-ইসিবি চত্বর-খিলক্ষেত-এয়ারপোর্ট-টঙ্গী। এ রুটের বাস ছাড়বে ভোর ৫টায়, ভাড়া ৮৩ টাকা। দ্বিতীয় রুটটি হচ্ছে, সদরঘাট-সায়েদাবাদ-কমলাপুর-মালিবাগ-রামপুরা-বাড্ডা-কুড়িল-বিশ্বরোড-খিলক্ষেত-উত্তরা-টঙ্গী। এ রুটের বাস ছাড়বে ভোর সাড়ে ৫টায়, ভাড়া ৫৩ টাকা। তৃতীয় রুট হচ্ছে, সদরঘাট-গুলিস্তান-শাহবাগ-ফার্মগেট-মহাখালী-বনানী-খিলক্ষেত-বিমানবন্দর-টঙ্গী। সদরঘাট থেকে এ রুটের বাস ছাড়বে ভোর ৬টায়, ভাড়া ৫০ টাকা। ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে কারা, কোন শক্তি সামপ্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে তা মানুষ জানে।
মানুষ তাদের পাকিস্তানের বন্ধুই ভাবে। কারণ পাকিস্তান গণহত্যা দিবসে বিশ্বাস করে না, আজও তারা ক্ষমা চায়নি। ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য এরশাদের মতো স্বৈরাচারের দল জাতীয় পার্টি অনুমতি চাওয়ামাত্র অনুমতি দিলেন, কিন্তু বিএনপিকে দেওয়া হচ্ছে না কেন’—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পারমিশনের ব্যাপারে তো তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ তারা (জাতীয় পার্টি) তো বৈধ রাজনৈতিক দল। এসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে লাভ নেই। যাকে স্বৈরাচার বলি সেই এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ার পরও পাঁচটি আসনেই জিতেছিলেন। বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের সভা-সমাবেশ তো নতুন কিছু নয়। সোহরাওয়ার্দীতে করলেই ভিন্ন কিছু চিন্তার কারণ নেই। হোয়াট মেইকস এ ডিফারেন্স? আমার তো বুঝে আসছে না।’ স্বৈরশাসক চাওয়ামাত্র অনুমতি পেয়ে সমাবেশ করতে পারল। আওয়ামী লীগের এতে খারাপ লেগেছে কি না—জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশে আরও অনেক খারাপ লাগার বিষয় আছে। সেগুলো তো আমরা হজম করে আসছি।’ জার্মানভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থার বরাতে বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিবিসি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের দল থেকে স্পষ্ট করে অবস্থান জানানো হয়েছে। এর পরও কেন বিষয়টি আলোচনায় আসছে!’ তিনি বলেন, ‘আমি একটি কথাই বলব, যে মুহূর্তে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে ঘোষণা করেছে, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করছি, ঠিক সেই মুহূর্তে এই রিপোর্টটা কেন?’
.jpg?v=1729382224)
