বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

অনুমতি পেলে বলে বাধ্য হয়েছে, না পেলে বলে গণতন্ত্র হরণ

—ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির জনসভা করার আবেদন সম্পর্কে বলেছেন, ‘জনসভার অনুমতি পেলে বিএনপি নেতারা বলেন সরকার বাধ্য হয়েছে। আর অনুমতি না পেলে বলেন গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। সরকার কোন দিকে যাবে?’

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিএনপি রাজপথে কী মহাপ্লাবন ঘটিয়েছে যে সরকার বাধ্য হবে? সেই সামর্থ্য সক্ষমতা কি বিএনপি গত নয় বছরে নয় মিনিটের জন্যও দেখাতে পেরেছে? সামনে তো প্রশ্নই আসে না।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নিজেরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন এসব সুযোগ-সুবিধা তারা দেননি। বিরোধী দলের সব অধিকার হরণ করেছেন। বিএনপি সরকারের সময় ২১ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বা অফিসের বারান্দায়ও আওয়ামী লীগকে সভা করতে দেওয়া হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না— এমন অভিযোগ অবান্তর। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তারা শোভাযাত্রা করল। যানজটের কথা চিন্তা করে রুলিং পার্টি যেখানে র‌্যালি করেনি, বিএনপি তো জনদুর্ভোগের কথা ভাবেনি। তারা বিনা বাধায় র‌্যালি করল। তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার কীভাবে হরণ করা হলো?’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি সরকার দেখে না। এটি দেখে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কারণ তাতে নিরাপত্তার বিষয় জড়িত।’

ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘মানুষ এখন ইলেকশন মুডে আছে, কেউ আর আন্দোলনের মুডে নেই। মানুষ উন্নয়নে-অর্জনে খুশি। বিএনপির কোনো অর্জনের ইতিহাস নেই। ভোট চাইতে হবে কাজ দিয়ে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঘরে বসে সংবাদ সম্মেলন করা ছাড়া বিএনপির কোনো কাজ নেই। তাদের নেত্রী দণ্ডিত হবেন, এটা কি জনগণের দোষ? তারা ডাক দিলে নাকি লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নামবে! জনস্রোত নয়, ছোটখাটো ঢেউও দেখলাম না। এখন বলে নির্বাচন থেকে সরকার তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। তারা নির্বাচনে এলে সরকার কীভাব সরাবে? এটা তাদের অধিকার।’

জার্মানভিত্তিক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশ’-এর কাতারে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যে মুহূর্তে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেল, ঠিক সেই মুহূর্তে এ ধরনের রিপোর্টের আবশ্যকতা কী, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। যে প্রতিষ্ঠানের নামে এই রিপোর্ট এসেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, কার্যক্রম, তাদের বিষয়ে খতিয়ে দেখছি, কাগজপত্র কালেক্ট করছি। এ ব্যাপারে আমরা আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাব।’

সর্বশেষ খবর