অনিয়মের ১৫০ কোটি টাকা সাত কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরকে নির্দেশনা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বার্ষিক অডিট প্রতিবেদনে উত্থাপিত অনিয়মের বিষয় পর্যালোচনা করে সংসদীয় কমিটি আপত্তির টাকা কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৮১তম বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। কমিটির সদস্য মো. আবদুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, মো. আফসারুল আমীন, মো. শামসুল হক টুকু, রেবেকা মমিন এবং বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান বৈঠকে অংশ নেন। সংসদ সচিবালয় জানায়, বৈঠকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রফেশনাল ফি’র হিসাবের ওপর মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের করা ২০০৪-২০১৩ পর্যন্ত আটটি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে অনুমোদনহীন জনবলের বেতন-ভাতা বাবদ প্রফেশনাল ফি থেকে ৪৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়। পরামর্শক, প্রিন্টিং ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, গাড়ি মেরামতকারী এবং ইন্টেরিয়র প্রতিষ্ঠানের বিল প্রদানের সময় ৪৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার
ভ্যাট ও আয়কর কম আদায়। গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় দেখিয়ে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট গাড়িচালকের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর। অনুমোদন না নিয়ে অর্গানোগ্রামবহির্ভূতভাবে প্রফেশনাল ফি থেকে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনটি মোটরযান ক্রয়। অনিয়মিতভাবে প্রফেশনাল ফি’র ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয় করে অফিস ভবন নির্মাণ, প্যাসেঞ্জার লিফট ক্রয় এবং জেনারেটর স্থাপন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে হাইওয়ে স্টেশন নির্মাণ বাবদ এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতিকে প্রফেশনাল ফি থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রদান ইত্যাদি।সংসদীয় কমিটি প্রয়োজনীয় দলিল-দস্তাবেজ উপস্থাপন করে এসব অডিট আপত্তি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তির সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, অডিট অফিস, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।