বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন : খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে সরকারি গোডাউন ও সাইলোতে খাদ্যশস্যের মোট ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন। এ বছর শেষে এ ধারণ ক্ষমতা দাঁড়াবে ২২ লাখ মেট্রিক টনের কাছাকাছি।

খাদ্য অধিদফতর এবং তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের আওতায় মধুপুর, ময়মনসিংহ এবং আশুগঞ্জে ৩টি স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি  এ কথা বলেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহবুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদফতরের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গাজীউর রহমান এবং তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভূইয়া। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সাল নাগাদ ধারণ ক্ষমতা বেড়ে প্রায় ২৭ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০২৫ সাল নাগাদ ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টনে দাঁড়াবে। তিনি বলেন, অতীতের চেয়ে এখন খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে। বছরে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়। এসব খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করার জন্য আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার বাড়াতে হবে।

আর সেই পরিকল্পনা নিয়েই সরকার অগ্রসর হচ্ছে।

তিনি বলেন, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্যাকেজে ৮টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৬টি চালের এবং ২টি গমের সাইলো। প্যাকেজ ড-৩ এর আওতায় ময়মনসিংহ, মধুপুর ও আশুগঞ্জে ১টি করে মোট ৩টি সাইলো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে নির্মিত সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৪৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন, মধুপুরে নির্মিত সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৪৮ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন এবং আশুগঞ্জে নির্মিত সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ৮ হাজার মেট্রিক টন। ৩টি সাইলোর সর্বমোট ধারণ ক্ষমতা হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৯৭০ মেট্রিক টন।

সর্বশেষ খবর