শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
জবির অনুষ্ঠানে বক্তারা

নারী জাগরণের প্রথম পথিকৃৎ নওয়াব ফয়জুন্নেসা

জবি প্রতিনিধি

নারী জাগরণের প্রথম পথিকৃৎ নওয়াব ফয়জুন্নেসা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ মেধা বৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ব্রিটিশ শাসনামলে উপমহাদেশের নারী জাগরণের প্রথম পথিকৃৎ ছিলেন কুমিল্লার সন্তান নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ আমলের প্রথম নারী নওয়াব। আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে সে সময় এক লাখ টাকা দান করে তিনি অসামান্য অবদান রাখেন। গতকাল কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদ কর্তৃক আয়োজিত প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ, মেধাবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তারা স্মৃতিচারণের সময় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের সিইও নঈম নিজাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সংসদের সভাপতি আলী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ ইসরাফিলের সঞ্চালনায় নবীনবরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সুকুমার চন্দ্র সাহা, ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহেল রানা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল।

অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু তাঁর বক্তব্যে বলেন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্মের সত্তর বছর আগে কুমিল্লার কৃতী সন্তান নওয়াব ফয়জুন্নেসা স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্র্রাসা নির্মাণ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। যে কারণে শিক্ষা-সংস্কৃতিতে কুমিল্লা সব সময়ই এগিয়ে থেকেছে।

সম্পাদক নঈম নিজাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রথম নারী জাগরণের পথিকৃৎ নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন কুমিল্লার সন্তান। তিনি তাঁর স্বামী ও ভাইদের সঙ্গে লড়াই করে আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে জমিদারি গ্রহণ করেন। জেলায় অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লার ভূমিকা ছিল গৌরবময়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, শচিব দেব বর্মণ, কবি নজরুলের স্মৃতি বিজরিত কুমিল্লা আমাদের অহংকার ও গৌরব। তিনি ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। দেশের শিক্ষা সংস্কৃতিতে কুমিল্লাবাসীর অবদানের কথা উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ১৯৪৮ সালে প্রথম বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি জানান কুমিল্লার সন্তান ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তার এ দাবির ভিত্তিতে বাংলা একপর্যায়ে রাষ্ট্র ভাষা ও স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। তিনি কুমিল্লা জেলার নামের সংস্করণে ইংরেজি অক্ষর ‘সি’ না দিয়ে ‘কে’ দিয়ে লেখার দাবি করেন। এই সঙ্গে তিনি জেলার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নে কুমিল্লায় অবস্থিত পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি চালু করারও দাবি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর