শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ নয় দেশ চালাচ্ছে অন্য কেউ : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আমার তো মনে হয় আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে না। অন্য কেউ দেশ চালাচ্ছে। কারণ একটি রাজনৈতিক দল দেশ চালালে কখনো বিরোধী দলের সঙ্গে এমন আচরণ করে না। মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার এভাবে কেড়ে নেয় না। সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা করাতে চায় না বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে সরকার ভয় পায়। এ জন্য সরকার তার সুচিকিৎসা করাতে চায় না। খালেদা জিয়া আজ সব ধরনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ নেতারা যেসব দুর্নীতি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন তা খুঁজে বের করতে সক্ষম নয়। রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকার সময় আমাকে নিয়ে যেভাবে মনগড়া নিউজ করা হয়েছে, তাতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার লোভ সংবরণ করতে পারলাম না। আমি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ‘বিএনপি চালাবে কে?’ শিরোনামে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয়। এতে আমি খুব উদ্বিগ্ন হয়েছি। কারও বিরুদ্ধে মনগড়া তথ্য প্রচার করে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা কখনো বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা হতে পারে না।

এসব মনগড়া নিউজ জাতিকে বিভ্রান্ত করে। এসবের ফলে শুধু একটা দল বা ব্যক্তি নয় গোটা জাতির ক্ষতি হয়। তাই আমি আহ্বান জানাব, যাতে এমন কোনো সংবাদ প্রচার করা না হয়, যাতে দেশের মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।

ফখরুল বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, যেখানে প্রতিটি নেতা-কর্মী সব সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে। আমাদের দলের সবাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছি। আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ আছি, আর সেটি সরকারের পছন্দ হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা চাই সত্যিকারের একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। কিন্তু বর্তমানে যা চলছে তাতে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। সেই জন্য লড়াই করছেন বেগম খালেদা জিয়া। আমরা দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে। সরকার যেভাবে চায় তারা সেভাবে কাজ করছে। এখন আমাদের দলের আট নেতার চরিত্রহনন করতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তারা নাকি ১২৫ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেন করেছেন? আমি বলব দুদকের এ অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া।

তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে যারা দুর্নীতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। যারা রাষ্ট্রের অর্থ পাচার করছে, ব্যাংক লুট করছে, শেয়ারবাজার ধ্বংস করেছে তাদের বিষয়ে দুদক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এমনকি যারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা এখনো মন্ত্রী পদে বহাল আছেন। এদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর