স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের বন্ধু হিসেবে যে পুলিশ বাহিনীর স্বপ্ন দেখতেন, এখন পুলিশ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের সেই জায়গায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। কারণ আমাদের পুলিশ কখনো দেশ ও জনগণের কথা ভোলে না। পুলিশ সকল কাজ দায়িত্ব নিয়ে করছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে পুলিশের সক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। গতকাল রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক-২০১৮ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় পুলিশের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার জনমুখী পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যে ৮০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। এটা ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি করা হবে। পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের দাবি ও সুপারিশকে যৌক্তিক জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে— তবে আপনাদের সব দাবি পূরণ হবে, সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সেবা দিয়ে জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। মাঠপর্যায়ে পুলিশের সুনাম আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে মাদক সবচেয়ে বড় সমস্যা। মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। মাদক নির্মূলেও আমাদের রোল মডেল হতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে পুলিশকে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশ প্রতিটি ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। পুলিশকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও মতিঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর ফারুক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও তেজগাঁও থানার ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান পুলিশ বাহিনীতে প্রায় ২ লাখ সদস্য রয়েছে। প্রাচীন এবং ঐতিহ্য এই সংগঠনের এই প্রথম অভিষেক অনুষ্ঠিত হলো। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য ১০১ জন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়।

 এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— পুলিশের র্যাংক ব্যাজ, অবসরে যাওয়ার পর রেশন প্রদান, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু আইন সংস্কার, ওসির (পরিদর্শক) পদ বহাল রাখা, কর্মরত অবস্থায় নিহত হলে ২০ লাখ টাকা অনুদানের দাবি জানানো হয়।