বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ভ্যাট নয়, কর দিতে হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদের : মুহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ভ্যাট নয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের লাভের ওপর আয়কর নেওয়া হবে। বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দিলেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো আয় আছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো আয় হয়, সেসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের লাভের ওপর আয়কর নেওয়া হবে। গতকাল সচিবালয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের নগদ লভ্যাংশ প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। এ সময় আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার আহমেদ, মানিক চন্দ্র দে, সালমা নাসরিন, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ভ্যাট আরোপ হবে না। তাদের ইনকাম ট্যাক্স (আয়কর) দিতে হবে। আমি বোধহয় কাল একটু ভুল বলে ফেলেছিলাম। এর আগে আমরা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপ করেছিলাম। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন করিনি। সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইনকাম ট্যাক্স দেয় না। কিন্তু তারা (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) যে রকম চার্জ ধরে, তা দিয়েই তো লাভ করে। ফলে তাদের আয়কর দিতে হবে।’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কাগজে-কলমে অলাভজনক বলা হয়, এ ক্ষেত্রে তারা কীভাবে আয়কর দেবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সব সময় অলাভজনক বলা হয় না। অনেক সময় অলাভজনক বলার চেষ্টা করা হয়। সেখানে ফাঁকফোকর দেখবে ইনকাম ট্যাক্সের লোকেরা। তিনি বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যত টাকা লাভ করবে, এর ওপর নির্দিষ্ট হারে ইনকাম ট্যাক্স দেবে। মুহিত বলেন, ‘আগামী বাজেটের পরে কোটা সংস্কারে হাত দেওয়া হবে। কোটা এখন যা আছে, তা বোধহয় অনেক বেশি হয়ে গেছে।

এটা সংস্কার করা উচিত। তবে কোটা থাকতেই হবে। সমাজে যারা পশ্চাৎপদ, তাদের জন্য কোটা থাকা উচিত। প্রশ্ন হচ্ছে, কত শতাংশ থাকবে? আগামী বাজেটের পর কোটা সংস্কারে হাত দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি মুক্তিযোদ্ধা কোটা। কোটা অনুযায়ী যত পদ আছে, তত লোক পাওয়া যায় না।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, পুঁজিবাজারে বড় ধরনের উত্থান-পতনের কোনো সুযোগ নেই। এটিকে এখন আর ‘ফটকাবাজার’ বলা যাবে না। গত ছয় বছরে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজার এখন ঠিক হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে সংশয় প্রকাশ করেছে, তা তারা প্রতিবছরই করে। এ বছর আমার দৃষ্টিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী তিন মাস পর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’

ফারমার্স ব্যাংক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাংক নিয়ে অনেকেই সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন এটা সরকারের ব্যর্থতা। কিন্তু ওই ব্যাংকটিকে যারা সংকটে ফেলেছে, তারা যত দুষ্টই হোক, ব্যাংকটির পতন আমাদের ঠেকাতে হবে। আমরা এটাকে ঠিক করতে চাই।’ অনুষ্ঠানে আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমদ এবং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক অর্থমন্ত্রীর হাতে সরকারের প্রাপ্য নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ৫১ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৩০৪ টাকার ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট হস্তান্তর করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর