শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
আইনজীবী রথীশ হত্যা

স্ত্রীর সহকর্মী কামরুলও স্বীকারোক্তি দিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের আইনজীবী রথীশচন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনা হত্যা মামলায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন স্ত্রী দীপা ভৌমিকের পর তার সহকর্মী কামরুল ইসলামও।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন  জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত রংপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে স্বীকারোক্তি দেন কামরুল ইসলাম। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে রথীশকে হত্যার দায় স্বীকার করে কামরুল জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে রথীশের স্ত্রী দীপা ভৌমিকের সঙ্গে তার পরকীয়া ছিল। বিয়ে করে সংসার করার সিদ্ধান্তও হয়। পথের কাঁটা হিসেবে রথীশকে হত্যা করেই তারা বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হতে চেয়েছিলেন। তাই দুই মাস ধরে রথীশকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। হত্যার পর লাশ অন্য জায়গায় নেওয়ার জন্য নতুন একটি স্টিলের আলমারি তৈরি করা হয়। যে আলমারিতে কোনো তাক ছিল না। ২৯ মার্চ রাতে রথীশকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। এ রাতে রথীশ তার পেশাগত কাজ শেষে রাতে বাড়িতে ফিরে কাপড় পাল্টিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে খেতে বসেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দীপা ভাতের সঙ্গে ৫টি এবং ডালের সঙ্গে ৫টি চেতনানাশক বড়ি মিশিয়ে রথীশকে খাওয়ান। কামরুল আগে থেকে রথীশের বাড়ির পেছনে আত্মগোপন করে ছিলেন। ভাত খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রথীশ অচেতন হয়ে গেলে কামরুল ঘরে ঢোকেন। পরে দীপাসহ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর রথীশকে শার্ট, প্যান্ট ও জুতা পরানো হয়। পরের দিন সকালে স্টিলের আলমারিতে ভরে রথীশের লাশ কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির এক কক্ষে বালুচাপা দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ৬ এপ্রিল দীপা ভৌমিকও ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে কামরুলের সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্বামী রথীশকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। রংপুর নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন দীপা ভৌমিক ও কামরুল ইসলাম। এ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ছিলেন রথীশচন্দ্র।

সর্বশেষ খবর