শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইলিশে নেই উত্তাপ বেড়েছে লেবুর দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইলিশে নেই উত্তাপ বেড়েছে লেবুর দাম

বাজার দর

ইলিশ নিয়ে কাড়াকাড়ি নেই। সরবরাহও বেড়েছে। কেজি ওজনের এক জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। দুই কেজি ওজনের এক জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ টাকায়। আর চার কেজির এক হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০০০ টাকায়। তবে জাটকা রক্ষা ও ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে চাঁদপুরসহ দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে মত্স্য অধিদফতর। এসবের পাশাপাশি শসা, টমেটো, কাঁচামরিচ ও লেবুর দাম কিছুটা বেড়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি, গরুর মাংস, সবজি ও ভোজ্যতেলের দাম।  বৈশাখকে ঘিরে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে সরবরাহ বেড়েছে ইলিশ মাছের। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পয়লা বৈশাখকে ঘিরে রমরমা বাণিজ্য হয় ইলিশের। তাই নদী থেকে    অবাধে ধরা হচ্ছে ইলিশ। পাশাপাশি হিমাগারে সংরক্ষণ করা ইলিশও বাজারে আসছে। মত্স্য অধিদফতরের জাটকা সংরক্ষণ ও গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক এ বি এম জাহিদ হাবিব বলেন, মার্চ ও এপ্রিলে দেশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। তবে ওই এলাকার বাইরে ইলিশ ধরা যাবে। মূলত সেসব এলাকা থেকেই বাজারে ইলিশ আসছে। কিন্তু জাটকার ক্ষেত্রে বিষয়টি অবৈধ। সরেজমিন রাজধানীর কারওয়ানবাজার ঘুরে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। বড় আকারের ইলিশের সঙ্গে মাঝারি, ছোট ও জাটকা মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে বাজারে। মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা হিমাগারে সংরক্ষণ করা ইলিশ বিক্রি করছেন। পাশাপাশি নদী থেকে ধরা ইলিশও আসছে প্রচুর। কারওয়ানবাজারে ইলিশ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ইলিশের বাজারে বৈশাখের উত্তাপ চলছে। অনেকেই ইলিশ কিনতে শুরু করেছেন। তাই দাম একটু বেশি। তবে বড় ইলিশের তুলনায় ছোট ও মাঝারি ইলিশের চাহিদা বেশি দেখা গেছে। তিনি বলেন, গতকাল বড় আকারের এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়। তবে দুই সপ্তাহ ধরে এই আকৃতির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়। ৮০০ গ্রাম ওজনের এক পিস বিক্রি হয় ৭০০ টাকায়, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০০ টাকায়। ৭০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হয় ৫০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়।

৫০০ গ্রাম ওজনের এক পিস ইলিশ বিক্রি হয় ২৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাটকাও বিক্রি হচ্ছে অবাধে, যা কেজিপ্রতি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। বাজারের আড়তদার কাউছার মিয়া জানান, অভয়াশ্রমের বাইরে ইলিশ শিকার চলছে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ এলাকায়ও অবৈধভাবে জাল ফেলছেন জেলেরা। সেসব ইলিশ সরাসরি কিনে স্থানীয় ও শহরের বাজারে তুলছেন কিছু ব্যবসায়ী। বাজার করতে আসা ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খেতে হবে, এটা  কোনো গ্রন্থে লেখা নেই। তবুও সাধারণ ভোক্তারা বিলাসিতার কারণে এই পান্তা-ইলিশ খেয়ে থাকেন। এ বাজার ঘুরে আরও দেখা গেছে, রুই, কাতলা, বাইল্যা, চিংড়ি ও পুঁটি মাছের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এসবের পাশাপাশি শসার কেজি ২০ টাকা বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়, টমেটোর কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়, কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া লেবুর হালি ১০ টাকা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।

সর্বশেষ খবর