শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

দ্রুত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রুত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন দিন

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ছাত্ররা চেয়েছিল কোটা সংস্কার করে ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হোক। কিন্তু কোটা সংস্কার না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দিলেন। এখন আগামী রবি-সোমবারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল নাকি সংস্কার চান তা বোঝা যাবে না। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গতকাল জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি  এ কথা বলেন। মোশাররফ বলেন, সাধারণ ছাত্রদের কোটা সংস্কারের দাবিতে করা আন্দোলন ছিল যৌক্তিক। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে অনেক আগে দাবি জানিয়েছিলাম প্রতিবন্ধী, নৃ-গোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছাড়া আর কাউকে কোটা দেওয়া যাবে না। ছাত্রদেরও একই দাবি। তাই আমরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক তা প্রমাণিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মাথা নত করে কোটা পদ্ধতি তুলে নেওয়ার মাধ্যমে। অতএব এ আন্দোলনে কোনো মামলা থাকতে পারে না। আমি অবিলম্বে সব মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একজনের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগের এক নেত্রী। আন্দোলনের মুখে তাকে তাত্ক্ষণিক বহিষ্কারও করেছে। অথচ তাকে আবার ফুল দিয়ে বরণ করে দলে ফেরানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই রগ কাটাকে উৎসাহিত করতে আওয়ামী লীগ নেতারা ছাত্রলীগের ওই নেত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যারা আন্দোলনে গিয়েছিল, নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, আগের সব জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কারণ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে মাঠে সেনাবাহিনী থাকলে সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসি ও সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা। এ নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষভাবে করতে পারে সেটি দেখবে জনগণ। তারা যদি এ দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন না করতে পারে তাহলে প্রমাণিত হবে তাদের দিয়ে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ সময় গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ সব স্থানীয় নির্বাচনেও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান তিনি। সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারির সভাপতিত্বে এতে কণ্ঠশিল্পী মনির খান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর