শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাঁচ দিন পর মিলল দুই বান্ধবীর লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর নার্গিস আক্তার (৪২) ও ময়না বেগম (৫০) নামের দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নারীদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তারা পরস্পর বান্ধবী ছিলেন। গতকাল বেলা ১টায় উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকার আওনা চকের একটি পুকুর থেকে ওই দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদের অভিযোগ, তার মা নার্গিস আক্তার ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। নার্গিস আক্তার উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের ইমান আলীর এবং ময়না বেগম পাশের আজিজপুর গ্রামের জামাল খানের স্ত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১টায় স্থানীয় এক নারী পুকুরে পানি আনতে গিয়ে ওই দুই নারীর লাশ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান বলেন, লাশ দুটি ফুলে উঠেছে এবং পচন ধরেছে। তাই কিছু বোঝা যাচ্ছে না। তবে এটা হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। নার্গিস আক্তারের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার পর নার্গিস আক্তারের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এ সময় নার্গিসের বাড়িতে ময়না বেগম উপস্থিত ছিলেন। ফোনে কথা শেষ হওয়ার পর তারা দুজন ঘর থেকে বের হন। পরে নার্গিসের ফোনের সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। ময়নার মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও কেউ ফোন ধরেননি। তাদের খুঁজে না পেয়ে ১০ এপ্রিল রাতে নার্গিসের ছেলে তানভীর আহমেদ ওই দুজনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। নার্গিসের বড় ছেলে তানভীর আহমেদ বলেন, তার মা নার্গিস বেগম ও মায়ের বান্ধবী ময়না বেগমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার মাকে তার বাবা ইমান আলী হত্যা করেছেন বলেও তানভীর অভিযোগ করেন। তানভীর বলেন, নয় বছর ধরে মায়ের সঙ্গে তার বাবার দ্বন্দ্ব চলছে। তার বাবা এ বাড়িতে থাকেন না। পাঁচ বছর আগে বাড়িতে এসে তার মাকে (বাবা ইমান আলী) বালিশচাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। এ সময় তানভীর তার মাকে বাঁচিয়েছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তার বাবা মাকে হত্যার হুমকিও দেন। তবে লোকলজ্জার ভয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বের এ বিষয়টি কাউকে জানাননি বলে জানান তানভীর। ময়না বেগমের মেয়ে শিপন আক্তার বলেন, ৯ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে তার মা ময়না বেগম বাড়ি থেকে বের হন। সন্ধ্যা ৬টায় মায়ের সঙ্গে তার কথা হয়। এর এক ঘণ্টা পর একাধিকবার ফোন দিলেও তার মা ফোন ধরেননি।

তবে তার মায়ের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই বলে জানান শিপন। তার মাকে যারা হত্যা করেছে, তাদের শনাক্ত করে ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানান শিপন আক্তার।

সর্বশেষ খবর