শিরোনাম
শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

বসুন্ধরায় ‘রক দ্য সিটি’তে মাতল শ্রোতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বসুন্ধরায় ‘রক দ্য সিটি’তে মাতল শ্রোতা

‘আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয় শৈশব কৈশোরের ঠিকানায়, আর একটা দিন কাটুক না হয় সব ভুলে’— আরবোভাইরাসের এ গানটি ক্ষণিকের জন্য সংগীতপ্রেমীদের স্কুলজীবনের দুরন্ত বেলায় ফিরিয়ে নিয়েছিল। কনসার্ট শুনতে আসা তরুণ-তরুণীরাও এ গান শুনে সমস্বরে গেয়ে উঠেছিল ‘আয় আয় বন্ধুরা ফিরে আয়, সবুজ মাঠের সোনালি ছায়ায় হাসব মোরা প্রাণ খুলে সবাই মিলে’।

গতকাল সংগীতপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের ঢল নেমেছিল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ‘রক  দ্য সিটি’তে। বিকাল থেকে শুরু করে নানা সংগীতে রাত ১০টা পর্যন্ত মাতোয়ারা     ছিলেন হাজারও দর্শক-শ্রোতা। উইজার্ড শোবিজের আয়োজনে এই সংগীতানুষ্ঠানে ৪টি ব্রান্ড বিভিন্ন গানে মজিয়ে রাখে। বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া কনসার্টে প্রথমে মঞ্চ মাতাতে আসে আরবোভাইরাস। ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ ‘স্কুল’ ‘অমানুষ’ ‘দূরত্ব’সহ একের পর এক বিভিন্ন গান গেয়ে তারা মাতিয়ে তোলে দর্শকদের। এরপর একে একে আর্ক, মাইলস্ ও এলআরবি আসে নানা মন মাতানো গানের ডালি নিয়ে। গানে উচ্ছ্বসিত হয় তরুণ-তরুণীর মন। কনসার্টের জন্য অনলাইনে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকলেও বসুন্ধরায় নবরাত্রী হলের সামনেও দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। দীর্ঘক্ষণ সুশৃঙ্খলবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করেছেন দর্শনার্থীরা। কনসার্ট শুনতে আসা রাজধানীর এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইরতিফা আহনাফ অনু বলেন, সাধারণত রক গানের এমন আয়োজন কমই দেখা যায়। তাই মিস না করে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে লাইভ কনসার্ট উপভোগ করতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে। দীর্ঘদিন পর একই মঞ্চে গান পরিবেশন করল জনপ্রিয় চার ব্যান্ড দল। বসুন্ধরার নবরাত্রী হলে লাইভ কনসার্টে আসা দর্শনার্থীরাও হাততালি দিয়ে শিল্পীদের উৎসাহ দেন।

স্কুল শিক্ষার্থীদের নৃত্য প্রতিযোগিতা : বাংলাদেশ নৃত্য রং ও বাংলাদেশ লোক সাংস্কৃতিক সংসদের যৌথ আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে দুই দিনের নৃত্য প্রতিযোগিতা। আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে গতকাল একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে শুরু হয় এ আয়োজন।

 উদ্বোধনী দিনে ‘ক’ ‘খ’ ও ‘গ’ বিভাগে রাজধানীর ১৭টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ৫টি শাখায় নৃত্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পুরস্কার প্রদান ও নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আজ একই মিলনায়তনে শেষ হবে দুই দিনের আয়োজন।

ঢাকা বইমেলা : জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অংশগ্রহণে পাবলিক লাইব্রেরিতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ‘ঢাকা বইমেলা ২০১৮’। গতকাল বিকালে লাইব্রেরির শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে এই মেলার উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এ কে এম  রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীস কুমার সরকার। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। ৩ মে শেষ হবে সাত দিনের এ বইমেলা।

ইতিহাস সম্মেলন : বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ আয়োজিত ১২তম দ্বি-বার্ষিক আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধন করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ইতিহাসবিদ প্রফেসর আবদুল মতিন সরকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। স্বাগত বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

রবীন্দ্রসংগীতের আসর : ‘ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ভারতীয় শিল্পী কমলিনী মুখার্জির রবীন্দ্রসংগীতের আসর। গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে তিনি পরিবেশন করেন ‘কেন চোখের জলে, আমার ভাঙা পথের, তোমার খোলা হাওয়া, তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার প্রাণের পরে ও বরিষ ধরা মাঝেসহ রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি গান। অনুষ্ঠানে স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ‘পারিবারিক চালচিত্র’ কবিতাটি পাঠ করেন ডালিয়া আহমেদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর