রবিবার, ৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা
দুই সিটি নির্বাচন

প্রচারণায় নানা অভিযোগ মেয়র প্রার্থীদের

খুলনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনা সিটি নির্বাচনের প্রচারণায় একদিকে যেমন উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন প্রার্থীরা, অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ব্যর্থতার চিত্র ও নানা অভিযোগ ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক গতকাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে বলেন, বর্তমান বিএনপির সিটি মেয়রের সিদ্ধান্তহীনতায় বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বিদেশি কয়েকটি সংস্থা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যোগ্য নগরপিতার অভাবে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে খুলনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। এর জবাবে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ভোটারদের কাছে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন। তিনি তার আমলে ৭০০ কোটি টাকা রেখে যাওয়ার যে প্রচারণা চালাচ্ছেন তা সঠিক নয়। দায়িত্বশীল নেতাদের কাছ থেকে নগরবাসী দায়িত্বশীল আচরণ আশা করেন। আর বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সিটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে শাসক দলের প্রার্থী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা বেপরোয়া আচরণ করছেন। ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে এই দুঃশাসন ও লুটপাটের জবাব দিতে চান। গতকাল তিনি নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে রূপসা পাইকারি মাছবাজার, ফেরিঘাট, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, শ্মশান রোড ও সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। তিনি ভোটারদের হাতে ধানের শীষের লিফলেট তুলে দেন এবং নির্বাচনে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারণাকালে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ২৮ বছর পরও খুলনার অনেক এলাকা এখনো উন্নয়নবঞ্চিত দাবি করে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, ‘জলাবদ্ধতা, মাদক ও মশা খুলনা সিটির অন্যতম প্রধান সমস্যা। ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়লাভের পর আমি এ সমস্যাগুলো দূরীকরণে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু পরের বার নির্বাচিত না হওয়ায় সব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এ বছর মেয়র নির্বাচিত হলে এ সমস্যা সমাধান করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’

এদিকে সিটি নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বিএনপি মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, সিটি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পুলিশ ও ডিবি দিয়ে বিএনপির কর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা পরিবর্তন চায়। তারা ভোটে ব্যালটের মাধ্যমে এই সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের জবাব দিতে চায়।

সিটি করপোরেশনের সংবাদ সম্মেলন : খুলনা সিটি করপোরেশনে বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনি গতকাল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ২০১৩ সালে পদত্যাগের সময় কেসিসির ক্যাশভল্টে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে ৯৫ কোটি ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৫ টাকা ৭৩ পয়সা স্থিতি ছিল। কিন্তু নির্বাচনের মাঠে তিনি ৭০০ কোটি টাকা রেখে যাওয়ার যে প্রচারণা চালাচ্ছেন তা সঠিক নয়।

সর্বশেষ খবর