বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে নদী রক্ষায় হার্ড লাইনে প্রশাসন

বৈঠা নিয়ে প্রতিবাদে মাঝিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নদ-নদী রক্ষায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন হার্টলাইনে অবস্থান করছে। এরই  মধ্যে প্রশাসন ১১ জেলা প্রশাসককে ৪৮ নদীর সর্বশেষ তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। উপজেলার সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহও শুরু করেছেন। জানা গেছে, ‘চট্টগ্রাম বিভাগীয় নদ-নদীর বর্তমান অবস্থা, বিদ্যমান সমস্যা এবং সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয় সম্পর্কে তথ্যাদি প্রেরণ’ শীর্ষক একটি চিঠি গত ১৫ এপ্রিল ১১ জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর সংখ্যা, আয়তন, নদীর অবস্থা, নদ-নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদ এবং নদী ও পানির দূষণ প্রতিরোধকল্পে গৃহীত পদক্ষেপ, প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থাদি, সময়াবদ্ধ পরিকল্পনাসহ বর্ণিত সমস্যা সমাধানে সম্ভাব্য কার্যক্রম ও করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদানের জন্য বলা হচ্ছে।’ চিঠির উত্তর পাওয়ার পর সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সার্বিক বিষয় উদ্যোগ নিতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে পাঠানো হবে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নদ-নদী ও খালের অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের উচ্ছেদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া এ সব তথ্য আবার তা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনেও পাঠানো হবে। এবার কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।  দখলদাররা যতই ক্ষমতাবান হোক, তাদের উচ্ছেদ করা হবে।’ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়. সামগ্রিক তথ্য ও সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে চট্টগ্রামে নদী রক্ষা কমিশনের বিশেষ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠা নিয়ে প্রতিবাদে নৌকার মাঝিরা : দখল-দূষণের কবলে পড়া চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদী রক্ষায় নৌকার মাঝিরা হাতে নিয়েছেন বৈঠা। তারা বৈঠা নিয়ে প্রতিবাদী হয়ে নৌকা পরিবহন বন্ধ রেখে এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন। একই সঙ্গে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় হাই কোর্টের রায় বাস্তবায়নেরও দাবি জানান।

কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত রাখতে তিন দিনব্যাপী সাম্পান খেলা ও চাঁটগাইয়া সংস্কৃতি মেলার দ্বিতীয়দিনে সাম্পান শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে অতিথি, নৌকার মাঝি ও সমবেতরা এ দাবি করেন। গতকাল সকাল ১১টায় নগরের অভয়মিত্র ঘাট থেকে শুরু হওয়া এ শোভাযাত্রা বন্দর মোহনা হয়ে অভয়মিত্র ঘাটে এসে শেষ হয়।

সর্বশেষ খবর