বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

নদী রক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নদী রক্ষায় একটি পৃথক ও সময়োপযোগী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন। বিভিন্ন আইনে নদী, নদীর পানি ও পরিবেশ রক্ষায় যেসব ধারা ও বিধিবিধান রয়েছে, নতুন আইনে সেসব তুলে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও আহ্বান জানিয়েছেন তারা। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে ‘নদী রক্ষা, পানি ও পরিবেশ উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব দাবি জানানো হয়।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের যৌথ আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. বোরহান উদ্দিন অরণ্য। আলোচনায় অংশ নেন— বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাফিজা খাতুন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. আলতাফ হোসেন রাসেল, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সহসভাপতি ড. মো. মহসীন আলী প্রিন্স। সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমরা সব সমস্যা চিহ্নিত করেছি।

এখন প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। প্রয়োজন সঠিকভাবে নদীর সীমানা নির্ধারণ, খাল ও নদীগুলো পুনরায় খনন, নাব্যতা ফিরিয়ে এনে নৌযান চলাচলের উপযোগী করা। এ ছাড়া কলকারখানাতে নিয়মিত নজরদারি করতে হবে ফিল্টারিং সিস্টেম ব্যবহার করছে কি-না। কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে দখলদারদের বিরুদ্ধে। দখলকৃত নদী উদ্ধারের পাশাপাশি আবার যেন নদী দখল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর