বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

পাওনা টাকার বিরোধে খুন হয়েছে শাকিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাওনা টাকার বিরোধে খুন হয়েছে শাকিল

পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন হতে হয়েছে রাজধানীর গুলশানের এক বিজ্ঞাপনী সংস্থার কর্মচারী রেজাউর রহমান শাকিলকে। এ হত্যার ঘটনায় ঘাতক হিসেবে অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা জানিয়েছেন। তাকে মঙ্গলবার রাতে নিকেতনের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নেশার টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরাফাত এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিকেতনের ৩ নম্বর সড়কে ‘টিনসেল টাউন’ নামে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার অফিস থেকে ১৮ বছর বয়সী শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলা ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। শাকিল ওই অফিসেই থাকতেন। তার বাবা নূর-এ-নবী ঢাকায় একটি শুটিং হাউসে কাজ করেন। এ ঘটনায় শাকিলের বাবা গুলশান থানায় মামলা করেন।

আসামি আরাফাত হোসেন গতকাল আদালতে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে আসামি আরাফাত ঘটনার কথা স্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) আমিনুল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামি আরাফাতের জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেন।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, শাকিলের মোবাইল থেকে মঙ্গলবার সকালে তার বাবার কাছে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে কয়েক দফা আলোচনায় সেই টাকার পরিমাণ এক লাখে নামে। ওই ফোন পাওয়ার পর শাকিলের বাবা গুলশান থানায় যান। পুলিশের পরামর্শে মোবাইলের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবিকারীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায় শাকিলের পরিবার। মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য নিকেতনে টিনসেল টাউনের অফিসের কাছে স্থান নির্ধারণ করা হয়। দিনভর ওই ভবনের আশপাশে অবস্থান নিয়ে থাকার পরও কেউ টাকা নিতে না আসায় সন্ধ্যায় টিনসেলের অফিসে যায় পুলিশ। কিন্তু দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তা ভেঙে ভিতরে ঢোকার পর শাকিলের লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, শাকিল ও আরাফাত একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করতেন। তাদের কাছে একজন ইয়াবার ৬০ হাজার টাকা পেতেন। ওই টাকা শাকিলের দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকা না দেওয়ায় শাকিলকে হত্যা করে আরাফাত। ঘটনার দিন রাতেও তারা দুজন বিয়ার ও ইয়াবা সেবন করেন। শাকিল ঘুমিয়ে গেলে দড়ি দিয়ে পা বেঁধে ফেলেন আরাফাত। পরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।

সর্বশেষ খবর