শনিবার, ১২ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রোদ-ঝড় উপেক্ষা করে ছুটছেন প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

রোদ-ঝড় উপেক্ষা করে ছুটছেন প্রার্থীরা

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শেষ হচ্ছে আগামীকাল। নির্বাচনের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে প্রার্থীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। গতকাল সকালে প্রখর রোদ আর বিকালে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ভোটারের দ্বারে দ্বারে ছুটেছেন    প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ অন্য প্রার্থীরা। দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

খালেকের প্রচার : গতকাল আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি খলিল চেম্বার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এরপর গোবরচাকা, তেঁতুলতলা, স্টাফ কোয়ার্টার, পল্লীমঙ্গল, পৈপাড়া, বিসমিল্লাহ মহল্লা ও বি কে রায় রোডসংলগ্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।

এ সময় তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, খুলনা সিটিতে দীর্ঘদিন বিএনপির মেয়র থেকেও নগরীর উন্নয়ন করতে পারেননি। জনগণ এবারের নির্বাচনে বিএনপির চলমান মিথ্যাচার, অপকৌশল ও দুর্নীতির জবাব দেবে। খুলনার সার্বিক পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বিএনপি নিত্যনতুন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা যে কোনো মূল্যে সিটি নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায় বলে জানান মেয়র প্রার্থী খালেক।

খালেক আরও বলেন, খুলনার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথেষ্ট আন্তরিক। তার আন্তরিকতায় আজ খুলনা অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নকাজ  সাধিত হয়েছে। খুলনার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আসন্ন সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে নগরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা বুঝে নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। গণসংযোগকালে জাসদের খুলনা মহানগরী সভাপতি ১৪ দল নেতা রফিকুল হক খোকন, নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হায়দার আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা, খুলনা মহানগরী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশসহ শতাধিক নেতা-কর্মী দলের মেয়র প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন। মঞ্জুর গণসংযোগ : গতকাল বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নগরীর সোনাডাঙ্গা, ময়লাপোতা, হরিজনপল্লী থেকে গণসংযোগ চালান। এরপর নিউমার্কেট, কাঁচাবাজার, বানরগাতি বাজার, ইসলাম কমিশনারের মোড়, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন এলাকায় প্রচার চালান। এ সময় মঞ্জু বলেন, বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে গণগ্রেফতার ও তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু কোনো ধরনের হুমকি ও ভীতির কাছে বিএনপি কর্মীরা নতিস্বীকার করবেন না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে ফল বুঝে তবেই ঘরে ফিরবেন তারা। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও ব্যাংক-বীমা লুটের হাজার কোটি টাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসী-ক্যাডার নগরীতে আমদানি করে তারা নৌকায় ভোট চাওয়াচ্ছে। কিন্তু নৌকার পালে বাতাস লাগাতে ব্যর্থ হয়ে তারা বেসামাল হয়ে পড়েছে। গণসংযোগকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, নগর বিজেপি সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজউদ্দিন সেন্টু, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলামসহ শতাধিক নেতা-কর্মী দলের প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন।

সর্বশেষ খবর