সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

বার কাউন্সিল নির্বাচনে আজ ভোটগ্রহণ

আহমেদ আল আমীন

আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনের আজ ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে সাদা প্যানেল। আর জাতীয় রাজনীতি ও বার কাউন্সিলে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের ব্যানারে নীল প্যানেল কাউন্সিলের নেতৃত্ব ফিরে পেতে মরিয়া। বার কাউন্সিল সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭১৩ হলেও শেষ মুহূর্তে আবেদনের পর সম্পূরক তালিকা থেকে আরও কিছু ভোটার বাড়বে। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার হতে পারে। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দেশের ৭৮টি কেন্দ্রের ১৫৭টি বুথে একযোগে ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন আইনজীবীরা। সভা-সমাবেশের পাশাপাশি যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে ভোটার ও আইনজীবীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন তারা। আইনজীবী সমাজের কল্যাণে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের ও নিজের প্যানেলের পক্ষে সমর্থন চেয়েছেন প্রার্থীরা। জয়লাভের ব্যাপারে দুই প্যানেলই আশাবাদী। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটাররাও হিসাব-নিকাশ করেই ভোট দেবেন।

এই নির্বাচনে সাধারণ আসনে সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— আবদুল বাসেত মজুমদার, মোহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুয়ায়ুন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, শ ম রেজাউল করিম, জহিরুল ইসলাম খান পান্না, পরিমল চন্দ্র গুহ এবং মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল। গ্রুপ আসনে এই প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু, মো. কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী, পারভেজ আলম খান, মো. ইয়াহিয়া এবং মো. রেজাউল করিম মন্টু। সাধারণ আসনে নীল প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— আবদুল জামিল মোহাম্মদ আলী, মো. ফজলুর রহমান, বোরহান উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা, তৈমুর আলম খন্দকার, মো. আব্বাস উদ্দিন ও সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া। গ্রুপ আসনে এই প্যানেল থেকে প্রার্থী হয়েছেন— মো. মোহসিন মিয়া, বাঁধন কুমার গোস্বামী, দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, এ টি এম ফয়েজ, এস আর ফারুক, মো. ইশাহাক ও শেখ মুখলেছুর রহমান। সাদা প্যানেলের অন্যতম প্রার্থী আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, বিগত সময়ে বার কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে মহল বিশেষ এই প্রতিষ্ঠানটিকে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে। আমরা নির্বাচিত হলে আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করব। নীল প্যানেলের অন্যতম প্রার্থী সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, দেশের বিচারব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার পর বার কাউন্সিলে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে একটি মহল নির্বাচিত হলেও আইনজীবীদের কল্যাণ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। বার কাউন্সিলের নির্বাচনে আমরা পূর্ণ প্যানেলে জয়ের আশাবাদী। বার কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের কমিটিতে সাধারণ ও আঞ্চলিক বা গ্রুপ আসনে সাতটি করে নির্বাচিত পদ। আইনজীবী ভোটাররা প্রত্যক্ষ ভোটে বার কাউন্সিলে তিন বছরের জন্য ১৪ জন সদস্যকে নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত এই সদস্যদের ভোটেই ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এই পদটি আলঙ্কারিক। এর আগে ২০১৫ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা নির্বাচিত হন। আর ২০১২ সালের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিতরা নয়টি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা পাঁচটি পদে নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ খবর