শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

অনলাইনে একাদশের আবেদনে ভোগান্তি

শিক্ষার্থীদের ভিড় শিক্ষা বোর্ডে

আকতারুজ্জামান

একাদশে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৩ মে। আবেদন করতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ভর্তিচ্ছুরা। সমস্যা সমাধানে তারা ভিড় করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলোয়। রাজধানীর বকশীবাজারে অবস্থিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সরেজমিনে সম্প্রতি এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিদিন লাখ লাখ ভর্তিচ্ছু আবেদন করছে। তাদের মধ্যে নগণ্যসংখ্যক আবেদনকারী সমস্যায় পড়েছে। তারা বোর্ডে লিখিত আবেদন করছে। তাত্ক্ষণিকভাবে ভর্তিচ্ছুদের সমস্যা সমাধান করে দেওয়া   হচ্ছে। ভর্তি নিয়ে কারও সমস্যা পোহাতে হবে না বলেও    জানান চেয়ারম্যান। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদের কক্ষের সামনে গিয়ে বৃহস্পতিবার দেখা গেল, একাদশে ভর্তির জন্য আবেদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকরা ভিড় করছেন। ভুক্তভোগী ভর্তিচ্ছুরা বলছেন, তারা আবেদন করতে গিয়ে দেখছেন, কে বা কারা তাদের রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে আবেদন করে রেখেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতারকরা নিজেদের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করার কারণে ভর্তিচ্ছুরা মোবাইল নম্বরটিও জানতে পারছেন না। নতুন করে আবেদন করতে তারা শিক্ষা বোর্ডে এসে প্রতারকদের করা আবেদন বাতিল করতে ধরনা দিচ্ছেন। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রাজধানীর বিসিআইসি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা তাবাসসুমের। তাবাসসুম জানান, আবেদন করতে গিয়ে তিনি তা করতে পারেননি। কে বা কারা আবেদন করে রেখেছে। তিনি আবেদন বাতিলের জন্য দরখাস্ত করেছেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ পুষ্পিতা রায় বলেন, তিনি আবেদন করতে গিয়ে লক্ষ্য করেন যে অন্য কেউ তার আবেদন করে রেখেছে। উপায় না পেয়ে সেই আবেদন বাতিল করতে শিক্ষা বোর্ডে লিখিত আবেদন করেছেন। নর্দান ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি কলেজ থেকে এসএসসি পাস করা এস এম আবুল আসাদ বলেন, রাজধানীর সাইনবোর্ডে অবস্থিত রফিকুল ইসলাম স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের কলেজে তার ভর্তির আবেদন করে দিয়েছে। একই সমস্যায় পড়েছেন আসাদের বেশ কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবীও। কলেজ কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের পর বিক্ষুব্ধ কয়েকজন অভিভাবক কলেজে গিয়ে শাসিয়েছেন বলেও জানান আবুল আসাদ। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করার পর ভর্তিচ্ছুর মোবাইলে একটি সিকিউরিটি কোড আসার কথা থাকলেও এই কোড না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কিছু ভর্তিচ্ছু। তারাও শিক্ষা বোর্ডে এসে সমস্যা সমাধানে লিখিত আবেদন করেছেন। এ ছাড়া ভর্তি কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ওয়েবসাইটে অর্ধশতাধিক মোবাইল নম্বর দেওয়া থাকলেও সেসব নম্বরে কল দিলে কেউ রিসিভ করছেন না। ভুক্তভোগীরা হেল্পলাইনে কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না।

সর্বশেষ খবর