শনিবার, ১৯ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

রাজধানীতে হচ্ছে আধুনিক ৩০ বাস-বে

► প্রকল্প ব্যয় ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা
► নির্ধারিত স্থান থেকেই বাসে ওঠানামা করা যাবে
► থাকবে ওয়াইফাই, টি-স্টল, মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা

ঝর্ণা মনি

রাজধানীতে হচ্ছে আধুনিক ৩০ বাস-বে

যত্রতত্র বাস থামানো, রাস্তার মাঝপথে গতি কমিয়ে যাত্রী ওঠানামা, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন, যাত্রী ধরার জন্য বাসে বাসে ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা, অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা যেন রাজধানীর গণপরিবহনের নিত্যদিনের চিত্র। যেসব জায়গায় বাস থামার কথা নয়, সেখানেও থামছে বাস। যাত্রী উঠছে, নামছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে না পেরে সঠিক সময়ে পৌঁছতে পারছেন না গন্তব্যে। নাগরিক জীবনের এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে শিগগিরই ৩০টি অত্যাধুনিক বাস-বে নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ইতিমধ্যে আজিমপুরে একটি বাস-বে নির্মাণের কাজও শুরু করেছেন তারা। 

জানা গেছে, ডিএসসিসির মেগা প্রকল্প অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এসব অত্যাধুনিক বাস বের নির্ধারিত স্থান থেকেই বাসে ওঠানামা করা যাবে, থাকবে উন্নত ফুটপাথ, ওয়াইফাই, টি-স্টল, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সড়কের শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। গণপরিবহনে নগরবাসীকে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। রোদ-বৃষ্টিতে তারা এখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণে মেগা প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০টি বাস-বে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যত্রতত্র বাস থামানো ও যানজট নিরসনে আধুনিক বাস-বে নির্মাণ করা হবে। নগরবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিএসসিসির নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর সড়কগুলোয় যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটও দেখা দেয়। এ ছাড়া রোদ-বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এ জন্যই আধুনিক বাস-বে নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এসব বাস-বে ব্যবহার না করলে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিনিয়তই রাজধানীতে যানজট বাড়ছে। ‘টুওয়ার্ডস গ্রেট ঢাকা : এ নিউ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডাইম ইস্টওয়ার্ড’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের এক জরিপ অনুযায়ী, যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা। এতে আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের জুনে রাজধানীর তিন রুটে পরিচালিত জাইকার এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ১৯ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। ওই তিন রুটে যাতায়াতের জন্য গড়ে সময় লাগে ৭৭ মিনিট। যার ২৪ শতাংশ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা, ৪৪ শতাংশ পরিবহনে ওঠানামা ও পরিবহন পরিবর্তনের জন্য এবং পরিবহনে চলন্ত অবস্থায় ৩২ শতাংশ সময় ব্যয় হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই ঢাকাকে আধুনিক ও বসবাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ডিএসসিসির অন্তর্ভুক্ত এলাকাকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে এই অত্যাধুনিক বাস-বে নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে আজিমপুর রুটে নির্মাণ করা হবে ছয়টি, একই রুটের বিপরীত পাশে আরও ছয়টি। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী, পল্টন, শাহবাগ, পান্থকুঞ্জ রুটে তিনটি। একই রুটের বিপরীত পাশে তিনটি। মগবাজার-মালিবাগ থেকে গুলিস্তান, সদরঘাট রুটে থাকবে ছয়টি। এই রুটের বিপরীত পাশেও ছয়টি বাস-বে নির্মাণ করা হবে। অবশ্য ডিএসসিসির এই উদ্যোগকে অপরিকল্পিত চিন্তার ফসল হিসেবেই দেখছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, লম্বায় ঢাকা শহর ২০ কিলোমিটার অন্যদিকে আড়াআড়ি ৯ কিলোমিটার। এই সামান্য জায়গায় বাড়ছে গাড়ি, মানুষজন ও ব্যবসায়িক কাণ্ড।

স্বভাবতই তাতে একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ফুটপাথ নেই। জেব্রা ক্রসিং নেই। শুধু নির্ধারিত জায়গায় আধুনিক বাস স্টপেজ হতে পারে। কিন্তু বাস-বে করার মতো কোনো রাস্তা আমাদের রাজধানীতে নেই। যেখানে মাঝখানে বাস-বে থাকবে আর দুই লেন দিয়ে বাস চলবে। সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে নগরবাসী কোনো সুফল পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। রাজধানীর রামপুরার বাসিন্দা কাজী সালমা সুলতানা বলেন, বাস স্টপেজে বাস না থামিয়ে যত্রতত্র যাত্রী তোলা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে বাসগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতারও শেষ নেই। এসব অত্যাধুনিক বাস বের নির্ধারিত স্থান থেকেই বাসে ওঠানামা করা যাবে, থাকবে উন্নত ফুটপাথ, ওয়াইফাই, টি-স্টল, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ মোবাইল ফোন চার্জের ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সড়কের শৃঙ্খলা ব্যবস্থায় আসবে আমূল পরিবর্তন। গণপরিবহনে নগরবাসীকে আর হয়রানির শিকার হতে হবে না। রোদ-বৃষ্টিতে তারা এখানে আশ্রয় নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণে মেগা প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ৩০টি বাস-বে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যত্রতত্র বাস থামানো ও যানজট নিরসনে আধুনিক বাস-বে নির্মাণ করা হবে। নগরবাসীর নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিএসসিসির নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর সড়কগুলোয় যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামার কারণে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটও দেখা দেয়। এ ছাড়া রোদ-বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যাত্রীদের। এ জন্যই আধুনিক বাস-বে নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আর এসব বাস-বে ব্যবহার না করলে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিনিয়তই রাজধানীতে যানজট বাড়ছে। ‘টুওয়ার্ডস গ্রেট ঢাকা : এ নিউ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্যারাডাইম ইস্টওয়ার্ড’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের এক জরিপ অনুযায়ী, যানজটের কারণে ঢাকা শহরে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা।

এতে আর্থিক ক্ষতি হয় প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের জুনে রাজধানীর তিন রুটে পরিচালিত জাইকার এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় গণপরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ১৯ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। ওই তিন রুটে যাতায়াতের জন্য গড়ে সময় লাগে ৭৭ মিনিট। যার ২৪ শতাংশ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা, ৪৪ শতাংশ পরিবহনে ওঠানামা ও পরিবহন পরিবর্তনের জন্য এবং পরিবহনে চলন্ত অবস্থায় ৩২ শতাংশ সময় ব্যয় হয়। এসব বিষয় মাথায় রেখেই ঢাকাকে আধুনিক ও বসবাসযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ডিএসসিসির অন্তর্ভুক্ত এলাকাকে তিনটি অঞ্চলে ভাগ করে এই অত্যাধুনিক বাস-বে নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে আজিমপুর রুটে নির্মাণ করা হবে ছয়টি, একই রুটের বিপরীত পাশে আরও ছয়টি। অন্যদিকে যাত্রাবাড়ী, পল্টন, শাহবাগ, পান্থকুঞ্জ রুটে তিনটি। একই রুটের বিপরীত পাশে তিনটি। মগবাজার-মালিবাগ থেকে গুলিস্তান, সদরঘাট রুটে থাকবে ছয়টি। এই রুটের বিপরীত পাশেও ছয়টি বাস-বে নির্মাণ করা হবে।

অবশ্য ডিএসসিসির এই উদ্যোগকে অপরিকল্পিত চিন্তার ফসল হিসেবেই দেখছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, লম্বায় ঢাকা শহর ২০ কিলোমিটার অন্যদিকে আড়াআড়ি ৯ কিলোমিটার। এই সামান্য জায়গায় বাড়ছে গাড়ি, মানুষজন ও ব্যবসায়িক কাণ্ড। স্বভাবতই তাতে একটি সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে ফুটপাথ নেই। জেব্রা ক্রসিং নেই। শুধু নির্ধারিত জায়গায় আধুনিক বাস স্টপেজ হতে পারে। কিন্তু বাস-বে করার মতো কোনো রাস্তা আমাদের রাজধানীতে নেই। যেখানে মাঝখানে বাস-বে থাকবে আর দুই লেন দিয়ে বাস চলবে। সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা নেই। ফলে নগরবাসী কোনো সুফল পাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। রাজধানীর রামপুরার বাসিন্দা কাজী সালমা সুলতানা বলেন, বাস স্টপেজে বাস না থামিয়ে যত্রতত্র যাত্রী তোলা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ নিয়ে বাসগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতারও শেষ নেই।

সর্বশেষ খবর