রবিবার, ৩ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

আট বছর পর যুবদলের কমিটি ক্ষুব্ধদের ভাঙচুর

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

দীর্ঘ আট বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটির অনুমোদন মিলেছে। অপূর্ণাঙ্গ এই কমিটি ঘোষণায় পদবঞ্চিত নেতাদের একটি অংশ শুক্রবার রাতেই বিক্ষোভ ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে। অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাবেক অনেক ছাত্র ও যুবদল নেতাও। যুবদলের শতাধিক নেতা-কর্মী রাত ১২টার পর নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের বাসভবনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। ফলে বিএনপির এই অঙ্গ সংগঠনের নতুন ঘোষিত কমিটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যুবদল নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে মোশাররফ হোসেন দিপ্তীকে সভাপতি ও মো. শাহেদকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে মো. ইকবাল হোসেনকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, মোশাররফ হোসেনকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও এমদাদুল হক বাদশাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আংশিক কমিটি হয়েছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর যুবদলের নব ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠনের বিষয়টি জানানো হয়। দুই বছরের জন্য এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে পাঁচ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা আসার পর সভাপতি পদবঞ্চিত যুবদল নেতা শামসুল হকের অনুসারীরা শুক্রবার রাতে নগরীর বাদশা মিয়া রোডে ডা. শাহাদাতের বাসার সামনে বিক্ষোভ করে। সেখান থেকে একটি দল নগরীর নূর মোহাম্মদ সড়কসংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে রাত ১২টার পর ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ডা. শাহাদাত ও মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং অবিলম্বে কমিটি বাতিলের দাবি তোলেন।

এদিকে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ঘোষিত কমিটি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়েছে মন্তব্য করে বলেন, পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই সাবেক যুবদল নেতা এবং তারা কার্যকর ভূমিকা রেখে আসছে। যে কোনো কমিটি হলে পক্ষ-বিপক্ষ থাকেই। এতে বিচলিত হওয়ার মতো কিছু নেই। তাত্ক্ষণিক রাগে-ক্ষোভে কেউ কেউ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে— এটা স্বাভাবিক। তবে এই কমিটি দ্রুত ত্যাগী নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে চট্টগ্রামের রাজপথে লড়াকু ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করছি।

সর্বশেষ খবর