মঙ্গলবার, ৫ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

পা ফেলার জায়গা নেই টেরি বাজারে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

পা ফেলার জায়গা নেই টেরি বাজারে

জমে উঠেছে চট্টগ্রামের ঈদ বাজার। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাসের শুরুতে বেতন পাওয়ায় গতকাল সকাল থেকেই বিভিন্ন বিপণি বিতানে ভিড় বাড়ছে। বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ের কারণে দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছেন না বিক্রেতারা।

নগরীর টেরি বাজার ব্যবসায়ী নেতা আবদুল মান্নান জানান, রমজানের মাঝামাঝি সময়ে মাস শুরু হওয়ায় এবার আগে থেকেই বিক্রি শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দম ফেলার ফুসরত পাচ্ছে না। বিক্রেতারা কম লাভ করে বেশি পণ্য বিক্রির কৌশল অবলম্বন করছে। এতে   এরপর ক্রেতারাও খুশি। ভালো বিক্রি হওয়ায় খুশি আমরাও। সায়েদা শিমু নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজানের শেষের দিকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। তাই ২০ রোজার আগেই কেনাকাটা শেষ করব। বিভিন্ন বিপণি বিতানগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার ক্রেতাদের  কটন, সিল্ক, হাফ সিল্ক, মসলিন কাপড়ে হাতের কাজ এবং ব্লক প্রিন্টের চাহিদা বেশি। তরুণদের আগ্রহ বাহারি পাঞ্জাবি, ফতুয়া, কুর্তি, টি-শার্ট ও ফরমাল শার্টে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসগুলোতে পছন্দনীয় কাপড় কিনতে ভিড় করছে ক্রেতারা। নগরীর নিউ মার্কেট, রেয়াজুদ্দিন বাজার, আমীন সেন্টার, সানমার ওশান সিটি, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, মুন্নি সুপার, শপিং কমপ্লেক্স, গুলজার টাওয়ার, মতি টাওয়ার, কেয়ারী, চক সুপার মার্কেট, লাকিপ্লাজা, সাউথল্যান্ড সেন্টার, ব্যাংকক সিঙ্গাপুর মার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর সুপার মার্কেট, বে-শপিং সেন্টারসহ নগরীর ছোটবড় শতাধিক মার্কেট এখন জমজমাট।  এ বছর চট্টগ্রামের ঈদ মার্কেটে ভারতের চেন্নাই, কলকাতা, ব্যাঙ্গালুরু, দিল্লি ও জয়পুর থেকে বিভিন্ন রং ও ডিজাইনের শাড়ি এসেছে। এগুলোর মধ্যে জুট কাতানের দাম ৫ থেকে ১০ হাজার, রাজস্তানি সিল্ক ৫ থেকে ২০ হাজার, ভেলবেট সিল্ক ২৫ থেকে ৩৫ হাজার, চেন্নাই কাতান ১০ থেকে ১৫ হাজার, বেনারসি ১৫ থেকে ৪০ হাজার, নেটের শাড়ি ৪ থেকে ১০ হাজার, ব্যাঙ্গালুরু কাতান ৫ থেকে ১০ হাজার, টাঙ্গাইল সিল্ক ৭০০ থেকে ২ হাজার এবং দেশি সুতি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। নগরীর টেরি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতাদের ঈদ আনন্দে যাতে কোনো ভাটা না পড়ে সে জন্য এবার সব ধরনের পাঞ্জাবিতে বিশাল ছাড় দিয়েছি। যার কারণে বিগত বছরের তুলনায় ভালো সাড়া পেয়েছি। শেষ মুহূর্তে পাঞ্জাবির দাম আরেক দফা কমিয়ে খুব সামান্য লাভে বিক্রি করছি।

সর্বশেষ খবর