শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

বাল্যবিবাহের হার ৫৯ শতাংশ

জিন্নাতুন নূর

দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশ আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। এ আট দেশের মধ্যে বাল্যবিবাহ সবচেয়ে বেশি হচ্ছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া বাকি দেশগুলোর বাল্যবিবাহের হার কমে এলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উল্টো এ হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ চলতি বছরের মার্চে বাল্যবিবাহ নিয়ে তাদের বিশ্বব্যাপী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আর সেই প্রতিবেদনে ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৫ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ২২ শতাংশ আর ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিবাহের হার ৫৯ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে পৃথিবীতে বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।

বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হচ্ছে নাইজারে। সেখানে বাল্যবিবাহের হার ৭৬ শতাংশ। এর পরই সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (৬৮%) এবং চাদের (৬৭%) অবস্থান। এর আগে ২০১১ সালে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ছিল ৫২ শতাংশ। কিন্তু ২০১৭ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৯ শতাংশে।  ইউনিসেফের দেওয়া তথ্যে, ১০ বছর আগেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহের হার ছিল ৫০ শতাংশ।

বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশ। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে সরকার মেয়েদের শিক্ষা প্রদান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করায় বাল্যবিবাহের হার কমতে শুরু করেছে বলে ইউনিসেফ প্রতিবেদনে উল্লেখ করে।  প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং ২০২২ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, সরকার বাল্যবিবাহ রোধে দরিদ্র পরিবারের ১৫ থেকে ১৮ বছরের মেয়েদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ ও ভাতা প্রদানের কর্মসূচি নিয়েছে। কারণ মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেই বাল্যবিবাহের সংখ্যা অনেক কমে আসবে। মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাল্যবিবাহ ঠেকাতে জন্মনিবন্ধন সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। একমাত্র স্থানীয় সরকারই পারে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে। কিন্তু আমরা উল্টো স্থানীয় সরকারের লোকজনকেই বাল্যবিবাহের দাওয়াত খেতে দেখি।

সর্বশেষ খবর