আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নয়, ‘পুলিশ ও ডিবি’ নির্ভর হয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জানে, জনগণের ওপর তাদের নির্ভরশীলতা নেই। তাদের নির্ভরশীলতা রাষ্ট্রীয় সংস্থার ওপর। তাদের নির্ভরশীলতা পুলিশের একটি অংশ, র্যাবের একটি অংশ, ডিবির একটি অংশের ওপর। আমি বার বার বলছি, গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা করেনি। এই নির্বাচনগুলো করেছে পুলিশের কিছু লোক আর ডিবির কিছু লোক। আর নির্বাচন কমিশন তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে ‘খুলনা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনী প্রহসন ও বিপর্যস্ত ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্য রাজনীতি এত সহজ হয়ে গেছে যে, নির্বাচনে তাদের নিজেদের আর কিছু করতে হয় না। তাদের সব কাজ এমন একটি প্রকল্প করেছে, এমন একটা নীল নকশা করেছে, যে নীল নকশায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত কম; খুবই সামান্য তাদের ভূমিকা।’ তিনি বলেন, ‘এখন যে কাজটা হচ্ছে, এ ধরনের নির্বাচন যদি অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্ম-নাগরিকরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ আর পাবে না। চিরতরে তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। দেশ শাসিত হবে অবৈধ সংসদ, অবৈধ সরকার, অবৈধ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিত্বে— যেখানে জনগণের কোনো ভূমিকা থাকবে না। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে চিরতরে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া চলছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শুধু বিএনপি নয়, সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে। যাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাদের মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাদের আইনের শাসন কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই জনগণ ও নাগরিককে একতাবদ্ধভাবে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।’
সংগঠনের উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও এম জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শাহ মো. নেছারুল হক, ফরিদউদ্দিন, শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ বক্তব্য দেন।