শুক্রবার, ২৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

রেলের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ

সংসদে সমালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেলের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ

রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয় নিয়ে সংসদে তীব্র সমালোচনা করেছেন সংসদ সদস্যরা। এ কারণে তারা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাব এনে তার বিরোধিতা করেছেন।

তারা বলেছেন, গণপরিবহনের মধ্যে সব থেকে সাশ্রয়ী রেল। অথচ দিন দিন রেলের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ। আগে মন্ত্রী-এমপিরাও ট্রেনে যাতায়াত করতেন। কিন্তু ১০টার ট্রেন কয়টায় আসে অবস্থার এখনো পরিবর্তন হয়নি। স্টেশনগুলোয় আধুনিকায়ন হয়নি। দেশের প্রতিটি রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি, সময়মতো ট্রেন না আসা, ট্রেনের টয়লেট ও ওয়েটিং রুম নোংরা থাকে, রেলের জমি দখল হয়ে যাওয়াসহ রেলের নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনা করে তারা বরাদ্দের বিরোধিতা করেন।

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দায়মুক্ত ব্যয় ব্যতীত অন্যান্য ব্যয় সম্পর্কিত মঞ্জুরি দাবির ওপর ছাঁটাই প্রস্তাব এনে এই বিরোধিতা করেন এমপিরা। জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেল কোনো মন্ত্রণালয় ছিল না। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বিভাগ ছিল। বিএনপি আমলে রেলপথকে একেবারে অবহেলা করে এটা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এক দিনে ১৩ হাজার কর্মীকে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেওয়া হয়েছিল। রেলস্টেশন বন্ধ, রেলপথ বন্ধ করে রেলকে ধ্বংসের পরিকল্পনা করেছিল খালেদা জিয়া সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই রেলকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন। এর পর থেকে রেলের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু উত্তরবঙ্গে ২৬টি ট্রেন যাতায়াত করে। কর্ণফুলী নদীর ওপর রোড কাম রেলব্রিজ করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পর্যটননগর কক্সবাজারে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন যাবে। গোপালগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন দ্রুতই উদ্বোধন হবে। অন্যান্য জেলায়ও রেলের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, আশা করি অবিলম্বে রেলের প্রভূত উন্নয়ন ঘটবে। ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম, আবদুল মুনিম চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন, নূরুল ইসলাম মিলন, নূরুল ইসলাম ওমর ও স্বতন্ত্র সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী। পরে কণ্ঠভোটে তাদের ছাঁটাই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর