শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডিবি পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নেপথ্যে ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিবি পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের নেপথ্যে ভাই

রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় টিপু সুলতান রোডে ডিবি পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আপন ছোট ভাই এনামুল হাসান রাজনের পরিকল্পনায় বড় ভাইয়ের ব্যবসার ওই টাকা ছিনতাই হয়।

ডিবি সূত্র জানায়, ৬ জন মিলে ওই টাকা ছিনতাই করে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় এনামুলসহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলো— এনামুল হাসান রাজন, জুয়েল মিয়া ও পারভেজ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী জোনাল টিমের সহকারী কমিশনার (এসি) ইমাম হাসান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন,  গত ২৫ জুন ওয়ারী টিপু সুলতান রোডে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শাখা থেকে মোহাম্মদ হোসেন বাবুল তার কর্মচারী বাবুলকে নিয়ে ১৫ লাখ টাকা তুলে ব্যাগে নিয়ে ধোলাইখালের দিকে যাচ্ছিলেন। রোডের শেষ মাথায় যেতেই ৪ জন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে রিকশার গতি রোধ করে সামনে দাঁড়ায়। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকার ব্যাগসহ তাদের মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে চোরাগলিতে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের জ্যাকেট, হ্যান্ডকাফ ও ধারালো চাকু ছিল। জানা যায়, ঘটনার দিনই ওয়ারী থানায় মামলা হলে ডিবি পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে  বাদীর আপন ছোট ভাই রাজনের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়। পরে রাজনকে গত ৮ জুলাই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রাজন ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে, রাজনের বন্ধু খৈয়াম পারভেজকে খিলগাঁও পূর্ব গোড়ান থেকে ও জুয়েল মিয়াকে রাজধানীর বংশাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় রাজনের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ও পারভেজের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। আর জুয়েলের কাছে থাকা নীল রঙের একটি অ্যাপাচি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। বাকি ৩ জন পলাতক। গত বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিমের আদালতে রাজন, জুয়েল ও পারভেজ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।  বাকিদের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জুয়েল মিয়া জানায়, রাজনের কথা মতো পারভেজ টাকা ছিনতাইয়ের জন্য জুয়েলকে মোবাইলে কল করে। তার কথা মতো আরও দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে টিপু সুলতান রোডে আসে। রাজন ঘটনার সময় বাড্ডায় ছিল। ৪ জন মিলে টাকা ছিনতাইয়ের পর তারা অন্য আরেক বড় ভাইয়ের বাসায় গিয়ে ওঠে। সেখানেই টাকার ভাগাভাগি হয়। পারভেজও জবানবন্দিতে রাজনের নির্দেশনার কথা স্বীকার করে। তাছাড়া ব্যাংক থেকে টাকা তুলবেন সে কথাও ফোন করে জানিয়েছিল রাজন। পরিকল্পনা করে বড় ভাইয়ের টাকা ছিনতাই করার বিষয়টি স্বীকারও করেছে রাজন। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর