মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
রাজশাহী
সিটি নির্বাচন

পুলিশ কমিশনার ও ডিসির নামে অভিযোগ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

পুলিশ কমিশনার ও ডিসির নামে অভিযোগ

রাজশাহীতে প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলছেই। সম্প্রতি নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের ওসির অপসারণ চেয়েছিলেন বিএনপি প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এবার নগর পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। রবিবার রিটার্নিং অফিসারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ সদস্যরা আওয়ামী লীগের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছে। এখনো তারা তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের এই তৎপরতা ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিস ভেঙে ফেলা হচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে মামলা করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। লিটন বলেন, বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে সন্ত্রাসী, হত্যা মামলার আসামিরা প্রচারণায় থাকছেন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ কারণে তিনি লিখিত অভিযোগটি করেছেন। তিনি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান। জেলা প্রশাসকের নামে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে কোনো নেতা তার কাছে গেলে তিনি সাক্ষাৎ দেন না। বিএনপির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন। আমি মনে করি, আমাদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ থাকা দরকার। কিন্তু এমনটি হচ্ছে না। এ জন্য লিখিত অভিযোগ করেছি। যদি ব্যবস্থা না হয়, তাহলে আরও ওপরে বলব।’

 তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে। নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয় এমন কোনো কাজ করব না।’

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গতকাল নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে সন্ত্রাসীরা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া নগরীর উন্নয়নে মেয়র নির্বাচিত হলে কী করতে চান তা তুলে ধরেন।

নগরীর হেতেম খাঁ এলাকায় গণসংযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও কেন্দ্রীয় নেতা নাদিম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। বুলবুল অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা বিশেষ বাহিনী গঠন করে তার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছেন। বুলবুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ তো আগে থেকেই জিতে আছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাহলে লোক দেখানো নির্বাচনের কী দরকার!’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালকুদার দুলু বলেন, বিএনপির পক্ষে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। ভবিষ্যতে তারা ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। সাধারণ মানুষ যদি সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে তাদের প্রার্থী বিজয়ী হবেন।

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান জানান, রবিবার পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৭টি ও বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ থেকে ১৬টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় পক্ষের আগের কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে আচরণবিধি ভঙ্গের কোনো প্রমাণ মেলেনি। রবিবার যে অভিযোগগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলোও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর