মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা
সংবাদিকদের হাসান মাহমুদ

ইট ইজ জাস্ট ওয়ান কাইন্ডস অব হ্যারাসমেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজা বলেছেন, ‘পানামা পেপারসে আমাদের কোনো নাম নেই। আমরা কোনোভাবে জড়িত নই। এসব আমরা চেক করে দেখেছি। আপনারাও ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পারেন। ইট ইজ জাস্ট ওয়ান কাইন্ডস অব হ্যারাসমেন্ট।’ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। দুদক উপ-পরিচালক আখতার হামিদ ভূঁঞার নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল সকাল সোয়া ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত হাসান মাহমুদ রাজাসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হাসান মাহমুদ রাজা বলেন, গতকাল আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদক কর্মকর্তারা। কোম্পানির বিষয়েও জিজ্ঞাসা করেছে। একটি পত্রিকায় লিখেছিল, আমাদের নাকি নাম আছে। ২০১৬ সালে পানামা পেপারসে প্রকাশ পেয়েছিল। আমাদের তো এখন ডাকার কথা না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে যাদের নাম এসেছিল তাদের ডাকা হয়েছিল। তখন আমাদের ডাকেনি। আমাদের কমপিটিটর উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের নাম প্রকাশ করেছে। আমাদের আয়করের সব নথিপত্র জমা দিতে বলেছে দুদক।

এ বিষয়ে দুদকের সচিব ড. মো শামসুল আরেফিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে অস্বীকার করেন। পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনায় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ছাড়াও ইউনাইটেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি ট্রেড মার্কেটিং লিমিডেটের পরিচালক খন্দকার মঈনুল আহসান, আহমেদ ইসমাইল হোসেন এবং আকতার মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। গত ৮ জুলাই পৃথক পৃথক চিঠিতে তাদের দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে অনুরোধ করা হয় বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) সম্প্রতি পানামা পেপারসের নামে নথি প্রকাশ করে। যেখানে ১ কোটি ১০ লাখ নথি ফাঁস করা হয়। ওই তালিকায় বিশ্বের প্রভাবশালী কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধানসহ শতাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনের নাম রয়েছে। তারা কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। যা বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জার্মান দৈনিক জিটডয়েচ সাইতংয়ের অনুসন্ধানী সাংবাদিক বাস্তিয়ান ওবারমেয়ারের হাতে এসব নথি আসে। তিনি এগুলো তুলে দেন আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী সাংবাদিক সংস্থা আইসিআইজের কাছে। পরবর্তীকালে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৮টি দেশের ১০৭টি সংবাদমাধ্যম এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে তা প্রকাশ করে। কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত সাড়া জাগানো পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে ফাঁস হওয়া তথ্যে এ পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীসহ ৩৪ বাংলাদেশি ও এক প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর