শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

শিক্ষা না নিলে সরকারকে খেসারত দিতে হবে

—মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, খুদে শিক্ষার্থীরা সরকারকে যে মেসেজ দিয়েছে তা থেকে শিক্ষা না নিলে আগামীতে চরম খেসারত দিতে হবে সরকারকে। তিনি বলেন, ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত তিন সিটিতে চোখের সামনে যে ভোট ডাকাতি হয়েছে তাকে কীভাবে ভাষান্তর করব তা খুঁজে পাচ্ছি না। এমনকি কোনো ভাষাবিদও মনে হয় কোনো ভাষা খুঁজে পাবেন না। গতকাল পুরানা পল্টনের আইএবি মিলনায়তনে লাব্বাইক সংগীত গবেষণা কেন্দ্রের আত্মপ্রকাশ ও লাব্বাইক শিল্পীগোষ্ঠীর পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের প্রধান পরিচালক মাওলানা মোস্তফা বাঙ্গালীর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ আবদুর রহমান প্রমুখ।

মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে। কিন্তু শুধু নিরাপদ সড়ক নয়, সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ শব্দটা প্রযোজ্য। নিরাপদ রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি— মোট কথা সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ জীবন চাই। আর এ জন্য প্রয়োজন ইসলামী শাসন ব্যবস্থা। ইসলামী শাসন ব্যবস্থাই কেবল সবকিছুর নিরাপদ নিশ্চয়তা দিয়েছে। তিনি বলেন, লাব্বাইক শিল্পীগোষ্ঠী নিরাপদ সংস্কৃতির স্লোগান নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছে। সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশের মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখে দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে ভাষাবিদরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করেছে, কখনো কারচুপি, স্থুল কারচুপি, ভোটচুরি, ভোট ডাকাতি, ডিজিটাল কারচুপি, সূক্ষ্ম কারচুপি ইত্যাদি। কিন্তু রাষ্ট্রের কর্মচারী প্রশাসন কীভাবে নির্লজ্জভাবে সরকার দলীয় লোকজনকে বিজয়ী করতে উঠেপড়ে লেগেছিল দেশবাসী তা দেখেছে। প্রশাসন ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিয়েছে এবং ভোট ডাকাতির পাহারাদার হিসেবে কাজ করেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর