বগুড়ার বিআরটিসির বাস ডিপো আলোর মুখ দেখছে না। দিন যত যাচ্ছে ছোট হয়ে আসছে সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন এই পরিবহন সার্ভিস। দিনের পর দিন যাচ্ছে আর বিআরটিসির বাসগুলো লক্কর-ঝক্কর মার্কায় পরিণত হচ্ছে। দিন দিন সেবার মান কমছে। কমছে বাস চলাচলের রুটও। সরকারি কোষাগারে আয়করের বকেয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিআরটিসির বাস ডিপো বগুড়ার কর্মকর্তারা বলছেন ডিপোর মোট ৬৭টি বাসের মধ্যে যে ৩২টি বাস রাস্তায় চলছে সেগুলোরও কোনো ফিটনেস নেই। জানা যায়, বগুড়া ডিপোর বাসগুলো অর্ধেকের বেশি চলাচলের অনুপযোগী। তবু জোড়াতালি দিয়ে চলাচল করছে। বিআরটিসির বাসগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। সিট নষ্ট হয়ে পড়েছে, তেল চিটচিটে, বাসের গায়ে দীর্ঘদিনের মাটি, কাদা, বালু পড়ে ময়লার স্তর জমে আছে। সিটের কাভার উঠে গেছে, এমন সিটে বসতে চাইছে না যাত্রীরা। জানা গেছে, বগুড়া ডিপো থেকে মোট ৬৭টি বাস চলাচল করত। নতুন বাস সংযোগ না হওয়ায় একই বাস বারবার চলার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে ২১টি। অকেজো গাড়ির তালিকা তৈরি করে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৪টি গাড়ি দেওয়া হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি লিজ। লিজ দেওয়া গাড়িগুলো সচল থাকলেও অচল হয়ে যাচ্ছে সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকা বাসগুলো। বর্তমানে বগুড়া থেকে মোট ৩২টি বাস চলাচল করছে প্রায় ২৫টি রুটে। বিআরটিসি বগুড়া বাস ডিপোর ম্যানেজার মফিজ উদ্দিন জানান, কয়েকটি বাসের ফিটনেস নেই। ২১টি বাস নষ্ট হয়েছে।
সেগুলো চলাচল করছে না। ১৪টি বাস লিজে চলছে। ফিটনেস না থাকার কারণে বাসের সড়ক কর, ফিটনেস ও অনুমিত আয়করের প্রায় ৩৯ লাখ টাকার রাজস্ব বকেয়া আছে। এই বকেয়া আদায় করার চেষ্টা চলছে।