ইজারাদার না পাওয়ায় বরিশাল নগরীতে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অস্থায়ী পশুরহাট বসেছে মাত্র তিনটি। এর সঙ্গে দুটি স্থায়ী পশুরহাট। অপরদিকে জেলার ১০ উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৩০টি অস্থায়ী পশুর হাটের। সব মিলিয়ে এবার ৫১টি পশুরহাটে গতকাল থেকে পাঁচ দিনব্যাপী কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।  বরিশাল সিটি করপোরেশনের হাটবাজার শাখার তত্ত্বাবধায়ক মো. নুরুল ইসলাম জানান, অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য মাত্র তিনটি আবেদন পড়ায় তাদের প্রত্যেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো— রূপাতলী টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন আদর্শ সড়ক, রূপাতলী কালিজিরা  বাজার এবং সিঅ্যান্ডবি রোড থানা কাউন্সিলের সামনে। এ ছাড়া নগরীর দুটি স্থায়ী পশুর হাট বাঘিয়া এবং পোর্ট রোডেও গতকাল থেকে পাঁচ দিনব্যাপী পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, জেলার ১০ উপজেলায় ১৬টি স্থায়ী পশুরহাটের মধ্যে সদর উপজেলায় একটি, বাকেরগঞ্জে তিনটি, বানারীপাড়ায় দুটি, গৌরনদীতে দুটি, মুলাদীতে ছয়টি, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জে রয়েছে একটি করে।

এ ছাড়া অস্থায়ী ৩০টি হাটের মধ্যে সদর উপজেলায় ৮টি, মুলাদীতে ৫টি, গৌরনদীতে ২টি, আগৈলঝাড়ার ৩টি, বাবুগঞ্জে ৫টি, বাকেরগঞ্জে ৩টি, উজিরপুরে ৪টি এবং মুলাদীতে রয়েছে ৫টি। গতকাল থেকে পাঁচ দিনব্যাপী পশুর হাট শুরু হয় বরিশাল নগরীসহ জেলার সব হাটে।

এদিকে পশুর হাটগুলোতে চাঁদাবাজি, অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী রোধসহ ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বরিশাল মেট্রো এবং জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে মেশিন ও অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর কথা জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।