বরিশাল নগরে শব্দদূষণ অস্ব্বাভাবিক হারে বেড়েছে। নগরের বিভিন্ন স্থানে স্ব্বাভাবিকের চেয়ে ২০ ডেসিবল বেশি হারে শব্দদূষণের অস্তিত্ব পেয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। পরিবেশ আইন অমান্য করে যত্রতত্র উচ্চশব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার, উচ্চশব্দের থ্রি হুইলার চলাচল ও অপ্রয়োজনে পরিবহনের হর্ন বাজানোর কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এদিকে অতিরিক্ত শব্দদূষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি ও মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি লোপ পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, নগরের বাণিজ্যিক এলাকাগুলোয় শব্দের সহনীয় মাত্রা ৭০ ডেসিবল। অথচ গুরুত্বপূর্ণ ওইসব এলাকায় শব্দের সহনীয় মাত্রা এর বেশি পাওয়া গেছে। পরিবেশ অধিদফতরের পরীক্ষায় নতুন বাজার টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ৯৩.৫ ডেসিবল ও সর্বনিম্ন ৯৩.২ ডেসিবল পাওয়া গেছে। রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ৯২.৩ ও সর্বনিম্ন ৮৯.১ ডেসিবল। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে ৯১.১ ডেসিবল ও সর্বনিম্ন ৮৫ ডেসিবল। পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরের সামনে পরিবহনের হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। কিন্তু এ আইন অমান্য করে যত্রতত্র এসব জায়গায় বাজানো হচ্ছে উচ্চশব্দের হর্ন। বরিশাল পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আরেফিন বাদল জানান, নগরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকায় শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। পরিবেশ আইন মেনে চললে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পরিবেশ আইন মানতে বাধ্য করতে নগরের বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা জানান তিনি। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ভাস্কর সাহা জানান, মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর কারণে শ্রবণশক্তি ও মস্তিষ্কের চিন্তাশক্তি লোপ পায়। এ ছাড়া হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়।