শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

শহর পরিচ্ছন্নতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

শহর পরিচ্ছন্নতায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

রাত ২টা। সড়কে মানুষের বাসায় ফেরার কোলাহলও থেমে গেছে। কোথাও কেউ নেই। পাশে নেড়ি কুকুর ঘেউ ঘেউ শব্দ তুলে ঝগড়া করছে। মশার কামড় আর উৎকট দুর্গন্ধ। এর মাঝে দুই তরুণ-তরুণী ডাস্টবিনের গায়ে তুলি দিয়ে পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় রঙের আঁচড় দিচ্ছেন। দৃশ্যটি বুধবার রাতের কুমিল্লা নগরীর ছোটরা এলাকার। কুমিল্লার ছেলে জুনায়িদ মোস্তফা। এই শহরে তার বেড়ে উঠা। শৈশবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন আবাসিক শহর হিসেবে দেখেছেন কুমিল্লাকে। সেই কুমিল্লা এখন অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ছে। তাই শহর পরিষ্কার রাখতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে তার স্ত্রী জানভীকে নিয়ে এই সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেমে পড়েন। পেশায় বিজ্ঞাপন নির্মাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্র জুনায়িদ মোস্তফা বলেন, বাবা সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। তাকে দেখেছি, সাংবাদিকতার পাশাপাশি শিক্ষা-চিকিৎসায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সেই ধারা থেকে আমারও ইচ্ছা হলো শহরের জন্য কিছু করার। আমি আর কিছু পারি না, একটু আঁকতে পারি। তাই স্ত্রীকে নিয়ে নেমে পড়ি। মানুষ যত্রতত্র এবং ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলে শহর নোংরা করছে। আমি চাই ডাস্টবিন দৃষ্টিনন্দন করে দিলে মানুষ ডাস্টবিন ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হবে। বিশেষ করে আঁকাআঁকিতে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করছি যেন নতুন প্রজন্মের নজরে পড়ে। যেন তারাও পরিচ্ছন্ন শহরের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে। এ কাজে সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, সাংস্কৃতিক সংগঠক নাজমুল হাসান পাখী, স্ত্রী জানভীসহ কিছু সৃজনশীল মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি।          

এই পরিচ্ছন্নতার আন্দোলনকে সারা দেশের তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। সাংস্কৃতিক সংগঠক নাজমুল হাসান পাখী বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী কাজ। তাদের মতো সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবেশ সুন্দর রাখতে ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, শহর সুন্দর রাখতে তারা ডাস্টবিনে আর্ট করছেন এটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সবাই এগিয়ে না এলে শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না। আমার অবস্থান থেকে তাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ খবর