সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশ’

বঙ্গমাতা শ্রেষ্ঠ সম্মাননা-২০১৮ পেলেন ফরিদা ইয়াসমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশ’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনকে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে বিশেষ অবদানের জন্য গতকাল ‘বঙ্গমাতা শ্রেষ্ঠ সম্মাননা-২০১৮’ প্রদান করা হয় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের বিচরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য নেতত্বের ফসল। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গমাতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনকে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে বিশেষ অবদানের জন্য ‘বঙ্গমাতা শ্রেষ্ঠ সম্মাননা-২০১৮’ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।  বঙ্গমাতা পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ডা. আবুল বারকাত, জাতীয় প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনককান্তি বড়ুয়া, আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম আনিসুর রহমান, ব্রুনাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাশেম, মো. আসাদুজ্জামান, জিন্নাত আলী খান, রিপন আলী খান, শেখ শাহে আলম সুরমা প্রমুখ। ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সরকারপ্রধান হিসেবে অসাধারণ অবদান রেখে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সুনাম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়েছে। তার চলমান কাজ সম্পন্ন করতে আরও কমপক্ষে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা দরকার। ফরিদা ইয়াসমিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘বঙ্গমাতা শ্রেষ্ঠ সম্মাননা-২০১৮’ পুরস্কারে আমাকে সম্মানিত করায় আমি আপ্লুত অভিভূত। কারণ এমন একজন মানুষের নামে এই পুরস্কার যার নাম শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাকে জনগণ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন এর পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সার্বক্ষণিক থেকে সাহস জুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ ভাষণের অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা। সেদিন বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন, মনে যা আছে তা দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য। সেদিন বঙ্গবন্ধু কোনো লিখিত ভাষণ দেননি। বঙ্গমাতাকে ইতিহাসে সঠিকভাবে স্থান দেওয়া হয়নি। তার অবদান নিয়ে গবেষণা হতে পারে। সঠিক মূল্যায়ন করে ইতিহাসে বঙ্গমাতাকে সঠিক স্থান দিতে হবে। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাজ বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সরকারের নানান উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান তিনি। অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত বলেন, নানান ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটা জায়গায় নিয়ে গেছেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ থেকে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ এটি এখন প্রমাণিত। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আরও অন্তত ১০ বছর বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। এমনি এমনি তো আর ক্ষমতায় আসা যাবে না। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ সময় তিনি সরকারের নানান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. কনককান্তি বড়ুয়া বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতের নানান উন্নয়ন তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর