সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আইন না মানার প্রবণতায় সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে

——— ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের চেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি নেই। এজন্য তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু জনসাধারণের আইন না মানার প্রবণতায় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর সব চেষ্টা বিফলে যাচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেল ক্রসিংয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়কের বিশৃঙ্খলা দূর করতে আন্দোলন করে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের দেখানো পথ অনুসরণ করে প্রথমে ১০ দিনব্যাপী ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করেছিলাম। সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে ট্রাফিক কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ কাজে সহযোগিতার জন্য রোভার স্কাউট, বিএনসিসি ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের তিনি ধন্যবাদ জানান। ডিএমপি প্রধান বলেন, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় গত এক মাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অনেক গাড়ি ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে। মামলা ও জরিমানা করা শেষ কথা নয়। আমরা ট্রাফিক আইন মানার জন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে ঢাকা শহরে ১৩০টি বাস স্টপেজে ‘বাস স্টপেজ শুরু’ ও ‘বাস স্টপেজ শেষ’ লেখা সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। এই এক মাসে পরিস্থিতি রাতারাতি বদলে না গেলেও আগের চেয়ে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে এবং হেলমেট ব্যবহারসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। শত বছরের অভ্যাস বা অনিয়ম এক মাসে পরিবর্তন হবে এটা আশা করা যায় না। বিদেশে যখন যাই, আমরা আইন মানি। তাহলে ঢাকার সড়কে বেরিয়ে আমরা আইন মানি না কেন? তবে আমরা আশাবাদী, সবাই সচেতন হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। কোনো ধরনের অনিয়ম পুলিশ করবে না বা কাউকে করতে দেবে না। অন্যায়কারী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার মধ্যে আইন মানার মানসিকতা ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তবে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপে ২০১৮ সালের মধ্যেই রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা করেন ডিএমপি কমিশনার।

সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে গণপরিবহনের যাত্রীদের মধ্যে ফুল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর