শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

হরিণের অভয়ারণ্য হচ্ছে হরিণঘাটায়

মোস্তফা কাজল

হরিণের অভয়ারণ্য হচ্ছে হরিণঘাটায়

হরিণের অভয়ারণ্য হচ্ছে হরিণঘাটা বনাঞ্চলে। এ অঞ্চলটি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় অবস্থিত। এক পাশে বঙ্গোপসাগর ও পায়রা বন্দর। এর পূর্বে বিষখালী আর পশ্চিমে বলেশ্বর নদের মোহনায় অবস্থিত হরিণঘাটা বনাঞ্চল। বড় প্রজাতির মায়াবি চিত্রল হরিণের বিচরণস্থল হওয়ায় এ বনের নামকরণ করা হয়েছে হরিণঘাটা বনাঞ্চল। এ বনাঞ্চলটি বন বিভাগের আওতাধীন। বরগুনা বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে হরিণের অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে। এতে পর্যটন আর্কষণ বাড়বে। এ খাত থেকে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। তবে তা যদি হয় বনাঞ্চল কিংবা সমুদ্র সৈকতে। তাহলে তো কোনো কথাই নেই। দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, হরিণঘাটায় হরিণের অভয়ারণ্য তৈরি হচ্ছে। এতে হরিণের প্রজনন বাড়বে। এমনকি বিদেশে রপ্তানি করা যাবে। ১৯৬৭ সাল থেকে বন বিভাগের সম্প্রসারণে নানা প্রজাতির গাছ রোপণের  মাধ্যমে বনটি সৃষ্টি করা হয়। বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার একরজুড়ে দৃষ্টিনন্দন এ বনে কেওড়া, গেওয়া, পশুরসহ সুন্দরী ও ঝাউবন রয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এখানে ২০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে বনায়ন করা হয়। এ ছাড়া সাগর তীরে লালদিয়ার চরে নতুন বন হওয়ায় পরিধি ক্রমশ বাড়ছে। এটি এখন বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য। এ বনে নেই কোনো হিংস্র প্রাণী। আছে হরিণ, বনমোরগ, বানর, শূকর, গুইসাপ, লাল কাঁকড়া।

এ ছাড়া রয়েছে নানা প্রজাতির সরীসৃপসহ প্রায় ৩৫ প্রজাতির পাখি। এমনকি হরেক রকম পাখির কলকাকলিতে মুখরিত বনের চারপাশ। ঘন বন আর সবুজে ছাওয়া বনের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে লালদিয়া, পদ্মা, লাঠিমারা সৈকত। সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য দেখার জন্য এরচেয়ে ভালো পরিবেশ আর নেই। এ বন থেকে সাগরের তীর দেখার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ফুট ট্রেইল। এ ছাড়া বনের ভিতর নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, বিশ্রামাগার ও গোলঘর। এ বনের সবেচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো—বনের ভিতরে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি খাল। জোয়ারের সময় খালগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। ছোট ছোট নৌকায় করে উপভোগ করা যায় বনের মধ্যকার সবুজের সমারোহ।

 

 

সর্বশেষ খবর