শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

জটিলতায় আটকে গেছে সৌন্দর্য

আমলাতন্ত্রে আটকে গেছে নীতিমালা কাজ শেষ হয়নি দুই বছরেও

নিজস্ব প্রতিবেদক

জটিলতায় আটকে গেছে সৌন্দর্য

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে সরকারের প্রতিশ্রুত সড়ক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ। বিশেষ করে নগরীর ভিভিআইপি রোড হিসেবে পরিচিত বিমানবন্দর গোলচত্বর থেকে বনানী পর্যন্ত সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য দুই বছর আগে উদ্যোগ নিলেও আজও তা শেষ করা যায়নি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। অথচ এ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ হওয়ার পর ভিভিআইপি এই সড়ক ঘিরে ঢাকার উন্নয়ন অবকাঠামোর একটি চিত্র তুলে ধরে প্রচারের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। সেই পরিকল্পনা এখন প্রায় ভেস্তে যেতে বসেছে এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করতে দেরি হওয়ায়। জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে বনানী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। দুই বছর আগে নেওয়া ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বেসরকারি উদ্যোগে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় কাজটি শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। শুধু তাই নয়, প্রায় দেড় বছর আগে হোটেল রেডিসনের সামনে এ সৌন্দর্যবর্ধন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর পরপরই সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড। তারা এ সড়কের দুই পাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে মনোমুগ্ধকর ফুটপাথ নির্মাণ করে। সড়কের বিভিন্ন লোকেশনে আলোকসজ্জা ও দেশীয় প্রজাতির ৫ লক্ষাধিক গাছ লাগিয়ে সাজানো হয়। এর পরও বাকি থাকে ১০টি ডিজিটাল যাত্রীছাউনিসহ অনেক কাজ। কিন্তু এ কাজ শেষ হচ্ছে না আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে। অথচ ছয় মাসের মধ্যেই এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সৌন্দর্যবর্ধনের ওই কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে এ-সংক্রান্ত নীতিমালাটি গতি পাচ্ছে না। এ বিষয়ে সেতুমন্ত্রীর নির্দেশনাও আমলে নিচ্ছেন না মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আর এখন সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে মন্ত্রণালয়ের সব কাজেই এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কারণে মন্ত্রী ব্যস্ত থাকায় সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনসহ এমন অনেক প্রকল্প ঝুলে আছে। স্টেকহোল্ডাররা এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট সচিবের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও সময় পাচ্ছেন না।অবশ্য সেতু মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, নীতিমালার কাজ শেষের দিকে। এখন স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেওয়া হবে। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।

এ নীতিমালার মধ্যে রয়েছে সড়কের পাশে ফিলিং স্টেশন, সড়কের সৌন্দর্যায়ন ও জমি ইজারা প্রক্রিয়া। তবে এই সরকারের মেয়াদে নীতিমালা হবে কি না সে বিষয়ে ওই অতিরিক্ত সচিব জানান, তারা অফিশিয়ালি চাইছেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর