বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, যে কোনো সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের পাশে ভারত ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। গতকাল দুপুরে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক কান্তুজিউ মন্দির পরিদর্শন শেষে এক সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শ্রিংলা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের একটি শক্তিশালী বীজ বপন করেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আজ সেই সম্পর্কের এক সোনালি অধ্যায় বিরাজ করছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতের সেনারা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছিল, যেটি ভারতের জন্য ছিল একটি গর্বের মুহূর্ত।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর পাশাপাশি মিত্র বাহিনীর আত্মত্যাগের ইতিহাস বাঙালি জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজ দেবোত্তর এস্টেটের পক্ষে চিত্ত ঘোষ, বীরগঞ্জ সার্কেলের এএসপি সালাহউদ্দীন আহমেদ, কাহারোল উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসিম আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প সমৃদ্ধ উপহার প্রদান করেন সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। এ সময় এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের হাতে মন্দিরের প্রণামী প্রদান করেন ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা। এর আগে প্রাচীন স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির পরিদর্শন করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। এ সময় রাজদেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট অমলেন্দু ভৌমিক, ভারতীয় হাইকমিশনার কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে ভারতের প্রখ্যাত সাঁওতাল বাউল সংগীতশিল্পী রথীন কিস্কু সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর ভারতীয় হাইকমিশনার দিনাজপুর শহরে রায়সাহেব বাড়ি লোকনাথ মন্দির প্রাঙ্গণে ভারতের অর্থায়নে মাল্টিপারপাস কমিউনিটি হল নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।