চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপি কার্যালয় নাসিমন ভবন নেতা-কর্মীশূন্য হয়ে পড়েছে। দুই দিন ধরে ভবনটির সামনে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ। ইতিপূর্বে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করসহ শীর্ষ নেতাদের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী গ্রেফতার করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আন্দোলন হয়নি। সর্বশেষ বুধবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেফতার করা হলেও কোনো প্রতিবাদ ও আন্দোলন হয়নি চট্টগ্রামে। নগরের ৫ থানা ও ১১ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও রয়েছেন জেলে। মূলত পুলিশি হয়রানি ও মামলার আতঙ্ক থাকায় বিএনপি নেতা-কর্মীরা মাঠে নামছেন না বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।
এদিকে নাসিমন ভবনের সামনে নুর আহম্মদ সড়কে দুই দিন ধরে পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছেন নগর পুলিশের অন্তত দুই প্লাটুন পুলিশ সদস্য। নগর বিএনপির মূল দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হলেও দলীয় কার্যালয়ে কেউ যাননি। তবে সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ানসহ অন্য নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে বিবৃতির মাধ্যমে ডা. শাহাদাত ও অন্য নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নগর বিএনপির উপ-দফতর
সম্পাদক ইদ্রিস আলী বলেন, বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই এখন রাতে নিজেদের বাসাবাড়িতে থাকতে পারছেন না। এ অবস্থায় পার্টি অফিস তো লোকশূন্য থাকবে; এটাই স্বাভাবিক। শুধু পার্টি অফিস নয়, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতাদের বাসার সামনেও পুলিশি প্রহরা বসানো হয়েছে। তাই এক ধরনের আতঙ্কে রয়েছেন বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী।