জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার পর টাঙ্গাইলে গতকাল বিকাল ৪টায় স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পথসভা করার কথা ছিল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমের। টাঙ্গাইল শহরে একই স্থানে ছাত্রলীগের পাল্টা সভা ডাকায় পণ্ড হয়েছে কাদের সিদ্দিকীর পথসভা। ওই সময় শহরের পৌর উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। অবশ্য ছাত্রলীগের দাবি, তারা কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা সভা ডাকেনি। ঘটনাস্থলে তাদের পূর্বনির্ধারিত সভা ছিল। গতকাল বিকালের দিকে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনার চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল ফেরার পথে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টার দিকে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ মিনারে পথসভা করতে চেয়েছিলেন। মির্জাপুরের গোড়াই পার হয়ে খবর পাওয়া যায়, শহীদ মিনার ছাত্রলীগের লোকজন দখল করেছে। পুলিশও শহীদ মিনার ও আশপাশে অবস্থান নিয়েছে। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভার জন্য মাইক টাঙাতে বাধা দেয় ছাত্রলীগের লোকজন। কিন্তু বঙ্গবীর কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে দিতে চাননি। তাই তিনি সেখানে পথসভা করতে যাননি।’
টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানাতে আগে থেকে ছাত্রলীগ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ মিনারে। সেখানে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কোনো পথসভা ছিল বলে জানা ছিল না। এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ার পর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইলে আসার পথে কয়েকটি স্থানে পথসভা করার কথা শহরে প্রচার হতে থাকে। বিশেষ করে টাঙ্গাইল শহরের নিরালার মোড়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা-কর্মীরা মাইক টাঙাতে যান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাইক টাঙাতে বাধা দেন। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে সেখানে। এতে করে শহরে থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্য দেওয়ার মতো পরিবেশ সেখানে ছিল না। এজন্য হয়তো তারা পথসভা করেনি। নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল।