সোনালী ব্যাংক থেকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের নেওয়া ঋণের সুদ মওকুফ ও নবমবারের মতো পুনঃ তফসিলের সিদ্ধান্ত হাই কোর্ট স্থগিত করে দিয়েছে। এ আদেশের ফলে পটুয়াখালী-২ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফিরোজের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ হুমকির মুখে পড়ল বলে রিটকারীপক্ষের আইনজীবীর দাবি। পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাউফলের পৌর মেয়র মো. জিয়াউল হকের এক রিট আবেদনের  শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেয়। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন এম মাইনুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান। আদেশের পর মাইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং রেগুলেশন্স অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্টের (বিআরপিডি) ১৫তম সার্কুলার অনুযায়ী ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃ তফসিল করা যায় না। কিন্তু মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেডের নামে আ স ম ফিরোজের নেওয়া ঋণ সোনালী ব্যাংক ১৯৯৪ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত নয়বার পুনঃ তফসিল করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তই স্থগিত করে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

এ আদেশের ফলে আ স ম ফিরোজ এখন ঋণখেলাপি। আর আইন অনুযায়ী ঋণখেলাপি ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না বলেও দাবি করেন তিনি।